টিকাকরণের ক্ষেত্রে দেশে দ্বিতীয় বাংলা, সংসদে ঘোষণা কেন্দ্রের
টিকা প্রক্রিয়ায় বাংলার সাফল্যের স্বীকৃতির কথা এবার সংসদে জানাল কেন্দ্র। কেন্দ্ৰীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাল, বাংলায় এখনও পর্যন্ত একটি করোনা টিকাও নষ্ট হয়নি। রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীদের নৈপুণ্যের ‘পূরস্কারস্বরূপ’ প্রায় পাঁচ লাখ ডোজ টিকা অতিরিক্ত পেয়েছেন বঙ্গবাসী।
সংবেদনশীলতার কথা মাথায় রেখে অনেক আগেই কেন্দ্র জানিয়েছিল, যে রাজ্য টিকা যত নষ্ট করবে, তাদের প্রাপ্য থেকে তত ডোজ কমিয়ে দেওয়া হবে। আবার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে উৎসাহিত করতে এমনও বলা হয়, যারা দায়িত্ব নিয়ে ও যত্ন সহকারে টিকা কাজে লাগাবে, তাদের ভাগ্যে জুটবে অতিরিক্ত ডোজ। এই বোনাস প্রাপ্তিতে দ্বিতীয় স্থানে বাংলা। আগে শুধু তামিলনাড়ূ। এবং এটি শুধু কথার কথা নয়।
শুক্রবার কেরলের সিপিআই সাংসদ এন কে প্রেমচন্দ্রন ও বিহারের বিজেপি সাংসদের প্রশ্নের জবাবে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে সংসদে এই কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। কোভিভ টিকার প্রত্যেক ভায়ালে দশটি করে ডোজ থাকে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে নষ্ট হতে পারে, এই কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি একটি করে ডোজ অতিরিক্ত দেয়। এখনও পর্যন্ত বাংলায় আসা কোনও ডোজ তো নষ্ট হয়ইনি, উল্টে সেই অতিরিক্ত ডোজগুলিও দেওয়া হয়েছে বঙ্গবাসীদের ।
সেই পরিমাণও কম নয়। ২০ জুলাই পর্যন্ত বাংলার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৪৭ জনকে দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত ডোজ । এই তালিকায় বাংলার উপর আছে শুধু তামিলনাড়ূ। তারা ৫ লাখ 8৪ হাজার ২৪৩টি অতিরিক্ত ডোজ পেয়েছে।
টিকা নষ্টের ক্ষেত্রে কলঙ্কজন অবস্থান বিহারের । ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৪৩টি ডোজ নষ্ট করেছে নীতীশ কুমারের রাজ্য। ৩৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে মাত্র আটটি ক্ষেত্রে নষ্ট হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টিকা। বিহার ছাড়া সেই তালিকায় যথাক্রমে আছে জম্মু ও কাশ্মীর, ত্রিপুরা, দিল্লি, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর ও মেঘালয় । বাকি ২৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মোট ৪১ লাখ ১১ হাজার ৫১৬টি অতিরিক্ত ডোজের সুবিধা পেয়েছে।