অসময়ে বৃষ্টি, লকডাউনের সাঁড়াশি আক্রমণে বিপাকে বোরোচাষিরা
একে অসময়ে দফায় দফায় বৃষ্টি, তাতে কখনও মিশে থাকছে শিল, তার উপর লকডাউন। ত্রহ্যস্পর্শে প্রাণ ওষ্ঠাগত বোরো ধানচাষিদের। প্রকৃতি ও করোনার মোকাবিলা কীভাবে করা যাবে, তা ভেবেই কূল পাচ্ছেন না তাঁরা। প্রত্যেকেই জানাচ্ছেন, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে এবার মাঠের ধান মাঠেই ফেলে আসতে হবে তাঁদের। গোটা বিষয়টি উদ্বেগে রেখেছে জেলা কৃষি দপ্তরকেও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যন্ত্রের উপরেই চাষিদের ভরসা করার নিদান দিচ্ছে দপ্তর।
নীচু জমিতে বছরে একবার চাষ হয়। সেটা বোরোধান। গত কয়েকদিন ধরে মেঘলা আবহাওয়া, তার সঙ্গে দফায় দফায় শিলাবৃষ্টিতে প্রবল আশঙ্কায় এই গ্রামের চাষিরা। এক চাষি মহম্মদ জাস্টিক আলি বলেন, এবার ধানের অবস্থা খুব খারাপ। দুদিন আগে যে শিলাবৃষ্টি হয়েছে, তাতে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এখন ধান কাটার সময় চলে এসেছে। একে লকডাউনে বাইরে থেকে শ্রমিকরা আসছে না। তার উপর ধানের যা পরিস্থিতি তাতে তাঁরা এই ধান কাটতে চাইবে না। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় নেই। দেখা যাক প্রশাসন কী করে। এমনটা চলতে থাকলে আমাদের বিষ খাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
লকডাউনে বোরোধান কাটার ক্ষেত্রে শ্রমিক সমস্যা যে কিছুটা হবে তা মেনে নিচ্ছে জেলা কৃষি দপ্তরও। দপ্তরের এক কর্তা বলেন, এবার মালদা জেলায় প্রায় ৬৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোধানের চাষ হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে সামান্য কিছু জমির ধানে ক্ষতি হলেও প্রতি হেক্টর জমিতে ৬ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের আশা রয়েছে। হাতে গোনা কয়েকদিনের মধ্যেই জমি থেকে ধান কাটার কাজ শুরু হয়ে যাবে। লকডাউনের জন্য কিছু শ্রমিক সমস্যা রয়েছে তা ঠিক। তাই এবার হারভেস্টার যন্ত্র ব্যবহার করে যতটা বেশি সম্ভব ধান কাটার কাজ করা হবে।