গান্ধীজিকে রাজনৈতিক খেলনা হিসেবে ব্যবহার করছেন মোদী, সরব জহর সরকার
রাজ্যসভায় কাকে পাঠাবে তৃণমূল এই নিয়ে তুমুল জল্পনার মাঝে চমকে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন প্রসার ভারতীর প্রাক্তন অধিকর্তা জহর সরকার (jawhar sircar)। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সম্প্রতি টুইট করে এই কথা জানানো হয়েছে। আর তারপরই জহর সরকার বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর লক্ষ্য একমাত্র নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) বিরোধিতা করা। তাঁর দাবি, নরেন্দ্র মোদীর শাসনে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপর্যয় নেমে এসেছে৷ এই অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতেই তিনি তৃণমূলের প্রস্তাবে রাজি হয়ে রাজ্যসভা নির্বাচনে লড়াই করতে সম্মতি দিয়েছেন। আর রাজ্যসভায় এখনও মনোনীত না হলেও সেই লড়াই জারি রেখেছেন জহর সরকার। এবার গুজরাতে মহাত্মা গান্ধীর তৈরি সবরমতী আশ্রমের আধুনিকিকরণের নামে অবমাননার অভিযোগ তুলে সরব হলেন তিনি।
একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ট্যুইট করে এদিন জহর সরকার লেখেন, ‘মোদীজি, মহাত্মা গান্ধীর ঐতিহাসিক সবরমতী আশ্রমের আধুনিকিকরণ করার সময় একটু সতর্কতা বজায় রাখুন। এটা দেশের সম্পদ, কারও রাজনৈতিক খেলনা নয়।’ প্রসঙ্গত, সবরমতী আশ্রমের উন্নয়নে ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে গুজরাত সরকার। সবরমতী আশ্রমকে বিশ্বমানের মিউজিয়াম ও পর্যটন স্থল করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা করতে গিয়েই মহাত্মা গান্ধির গড়ে তোলা সবরমতী আশ্রমের অবমাননা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এবার সেই বিষয়েও মোদীকে ছেড়ে কথা বললেন না তৃণমূলের ভাবী রাজ্যসভার সাংসদ।
প্রসঙ্গত, নাম ঘোষণার পরই রাজ্যসভা নির্বাচনে জয়ী করার জন্য সবার কাছে সমর্থন চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী জহর৷ সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০১৬ সালে আমি প্রসার ভারতীর সিইও পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম৷ কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদী যেভাবে হিন্দুত্ববাদ, একনায়কের মতো দেশের শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করছিলেন এবং অর্থনীতিকে ধরাশায়ী করে দিচ্ছিলেন, তার সঙ্গে আমি মানিয়ে নিতে পারছিলাম না৷’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে এনডিএ-র বিরুদ্ধে তীক্ষ্ণ আক্রমণ করে গিয়েছি৷ কিন্তু নেহাত সমালোচনা নয়, তার কারণও যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করেছি৷ আমি এই মনোনয়নের প্রস্তাব গ্রহণ করেছি কারণ যেভাবে দানবীয় শক্তি ব্যবহার করে মানবাধিকারকে দমনের চেষ্টা চলছে, সাম্প্রদায়িকতা, করোনা, মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক দুর্দশা, বেকারত্ব সামলাতে গিয়ে যেভাবে বিপর্যয় ডেকে আনছেন মোদী, তার বিরুদ্ধে আমি নিজের লড়াই জারি রাখতে পারব৷ তাই সবার সমর্থন প্রার্থনা করছি৷ ‘