মহিলাঘটিত কাণ্ডে নাম সৌমিত্র খাঁয়ের! বিতর্ক তুঙ্গে
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না সৌমিত্র খাঁয়ের। এখন তাঁর সঙ্গে স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল থাকেন না। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখানোর পর থেকেই দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। যা এখনও অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ কাণ্ডে উঠে এলো নারী যোগের অভিযোগ। আর তাতেই নাম জড়াল সৌমিত্র খাঁয়ের (Saumitra Khan)। সূত্রের খবর, এক মহিলাকে যুব মোর্চায় (Yuva Morcha) গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছিল। আর তা নিয়ে বাকিদের তোপের মুখে পড়েন যুব মোর্চার সভাপতি। এমনকী তাতে মেজাজ হারিয়ে ওই গ্রুপ থেকে বেশ কয়েকজনকে ছেঁটে ফেলেন সৌমিত্র। এই কোন্দল মেটাতে বাধ্য হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হস্তক্ষেপ করেছেন বলে খবর।
যুব মোর্চার অন্দরে ঠিক কী ঘটেছিল? বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, দু’দিন আগে মৌমিতা সাহা নামে এক মহিলাকে যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি। দু’বছর ধরে মৌমিতা যুব মোর্চার সঙ্গে যুক্ত। সৌমিত্র তাঁকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করতে উঠে পড়ে লাগে। কিন্তু মোর্চার পুরনো কর্মীরা তা মানতে নারাজ। এই নিয়েই যুব মোর্চার অন্দরে সংঘাত। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, সমালোচনার ঝড় উঠতে থাকে ওই গ্রুপেই। তখনই অনেক সদস্যকে গ্রুপ থেকে ছেঁটে সৌমিত্র। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কী সৌমিত্র–মৌমিতা নতুন কোনও সম্পর্ক তৈরি হয়েছে?
এই অবস্থায় যুব মোর্চার অনেক সদস্যই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে চিঠি লিখতে থাকেন। তখন ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে মৌমিতা সাহার নিয়োগ স্থগিত করে দেন দিলীপ ঘোষ। তাতে আবার সৌমিত্রের সঙ্গে দিলীপের সম্পর্কে চিড় ফাটলের আকার নেয় বলে সূত্রের খবর। সম্প্রতি তিনি নয়াদিল্লি গিয়ে জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন। তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি সৌমিত্রের।
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিষ্ণুপুরের সাংসদ পালটা সংবাদমাধ্যমকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘এটা একটা আনঅফিশিয়াল গ্রুপ। যারা মিডিয়ার কাছে এসব পৌঁছে দিচ্ছে। তাঁদের ভূমিকা আমার জানা নেই। সংবাদমাধ্যম সবসময় এইসব নিয়ে লেখালেখি করবেই। আমাদের অনেক গ্রুপ আছে। ওখানে অনেক সময় কেউ লেখে, কেউ লেখে না। এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানাতে হবে তার কোনও মানে নেই। আমরা দিলীপ দাকে জানিয়েছি।’