বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

লকডাউনের মাঝেই আবিস্কার সত্যজিৎ রায়ের বহু অদেখা ছবি ও চিঠিপত্র

May 2, 2020 | 2 min read

লকডাউনের সময় অনেকেই ঘর সাফাইয়ের কাজে হাত লাগাচ্ছেন। এমনি এক ঘর সাফাইয়ের কাজে হাত লাগিয়ে বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের পুত্র সন্দীপ রায় গুপ্তধন আবিস্কার করেছেন। খুঁজে পেয়েছেন তার পিতার বহু অদেখা  ছবি। প্রথম যুগে পথের পাঁচালি, অপু ট্রিলোজি ও জলসাঘর ছবির শুটিংয়ের সময় তোলা বেশ কিছু স্টিল ফটোগ্রাফির নেগেটিভ আবিস্কার হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে সত্যজিৎ রায়ের নিজের তোলা অনেক ছবি। 

পাওয়া গিয়েছে বিখ্যাত ফটোগ্রাফার রঘুবীর সিং ও রঘু রাইয়ের তোলা সত্যজিৎ রায়ের নানা মুডের বেশ কিছু অমূল্য ছবি। এসব ছবি কেউ কখনো দেখেন নি। এছাড়া অমূল্য সম্পদ হিসেবে পাওয়া গিয়েছে বহু বিখ্যাত মানুষের লেখা চিঠি। একটি চিঠিতে বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞানের লেখক আর্থার সি ক্লার্ক সত্যজিৎ রায়ের কাছে জানতে চেয়েছেন, সত্যজিৎ রায় কোন ধরণের গল্প লিখছেন এবং এই লেখার জন্য তিনি কি ধরণের গবেষণা করেছেন।

এছাড়াও ফ্রাঙ্ক কাপরা, আকিরা কুরোসাওয়া, রিচার্ড অ্যাটেনবরোর মতো বিখ্যাতদের চিঠি অমূল্য সম্পদের তালিকায় রয়েছে। সত্যজিৎ পুত্র জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ঘরের লফটে রাখা মালের অর্ধেক খোলা হয়েছে। বাকী অর্ধেক খুললে যে আরও কত কি পাওয়া যাবে তা নিয়ে রীতিমত রোমাঞ্চিত সত্যজিৎ অনুরাগীরা। সন্দীপ রায় নিজেও মনে করছেন, বাকীটা খোলা হলে পাওয়া যাবে আরো অনেক অমূল্য রত্নরাজি। সন্দীপ রায়ের মতে, ইতিমধ্যেই যা পাওয়া গিয়েছে তা দিয়ে কম করে তিনটি প্রদর্শনী করা যায়। 

সত্যজিৎ রায়ের বহু অদেখা ছবি ও চিঠিপত্র

আসলে সত্যজিৎ রায় বেশ কয়েকবার বাড়ি বদল করেছেন। প্রথমে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত  ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার ৩১ নম্বর লেক এভিনিউয়ে। পরে সেখান থেকে চলে এসেছিলেন ৩ লেক টেম্পল রোডের বাড়িতে। আর সর্বশেষ ঐতিহাসিক বিশপ রেফ্রয় রোডের বাড়িতে। প্রতিবারই বাড়ি বদলের সময় যে জিনিষ বাঁধা হয়েছিল তার অনেকটাই সেইভাবে থেকে গিয়েছিল। 

লকডাউনে সেই বেঁধে রাখা জিনিষপত্র খোলার অফুরন্ত সময় পাওয়া গিয়েছে রায় পরিবারের সামনে। আর তাতেই আবিস্কার হয়েছে অনেক সম্পদ, যার মূল্য অর্থের বিনিময়ে বিচার করা চলে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Satyajit Ray, #Lockdown

আরো দেখুন