প্লাবিত রঘুনাথপুর, দেখা নেই বিজেপির সাংসদ-বিধায়কদের

August 2, 2021 | 2 min read

ডিভিসি অতিরিক্ত জল ছাড়ায় আতঙ্কিত রঘুনাথপুর ২ ও নিতুড়িয়া ব্লকের একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই রঘুনাথপুর-২ ব্লকের দু’টি গ্ৰাম প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গিয়েছে মাছ চাষের পুকুর ও  চাষের জমি। খেলার মাঠ, মন্দির, ইটভাটা জলের তলায়। জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়লে আরও অন্তত আট থেকে ১০টি গ্ৰাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।  পরিস্থিতির কথা ভেবে যাতায়াতের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে নৌকা। তবে এতবড় দুর্যোগেও এলাকার বিজেপি বিধায়ক, সংসদ সদস্যকে দেখা যায়নি। এনিয়ে গ্রামবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এদিকে পরিস্থিতির কথা শুনেই গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়ান রঘুনাথপুর-২ ব্লক যুব সভাপতি  স্বপন মাহাথা। ওই এলাকা পরিদর্শন করেন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার।

জেলাশাসক বলেন, চাষের জমি প্লাবিত হয়ে প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে। গ্ৰামে জল ঢুকলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন ও পুলিস প্রস্তুত রয়েছে। মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়লে তাঁদের অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হবে। প্রবল বর্ষণে এমনিতেই দামোদর ফুঁসছিল। তার উপর ডিভিসি জলাধার থেকে জল ছাড়ায় দুকূল ছাপাতে শুরু করেছে। জল ঢুকে যায় রঘুনাথপুর-২ ব্লকের জামুয়াডি ও তালডিতে। এছাড়াও তেলকুপী, পাথরবাড়ি, লালপুর, বুরুডি, তুলসীবাড়ি গ্ৰামেও জল ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে। প্লাবনের আশঙ্কায় এখানকার মানুষ আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছেন।  খবর পেয়ে এদিন ঘটনাস্থলে যান রঘুনাথপুর-২ ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি স্বপন মাহাথা। তিনি বলেন, আমাদের দলের কর্মীরা প্রস্তুত আছেন। বিপর্যয় ঘটতে দেব না। ডিভিসি জলাধারগুলি থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে জল ছাড়ার ফলেই এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। গ্ৰামের বাসিন্দা পরমেশ্বর বেসরা, শিক্ষক সঞ্জয় মাহাথা বলেন, গ্রামের মানুষ আতঙ্কে থাকলেও এলাকায় সংসদ সদস্য থেকে বিধায়ক, এমনকী বিজেপির কোনও নেতাকেও দেখতে পাওয়া যায়নি। তৃণমূল কর্মীরা অবশ্য গ্ৰামের মানুষের সঙ্গে রয়েছেন। বিপদের এই সময় প্রশাসনের তরফে মানুষের পাশে দাঁড়ানো দরকার।

বিজেপির বিধায়ক নদিয়ারচাঁদ বাউরি বলেন, দাদা মারা গিয়েছেন। ক্রিয়াকর্মের জন্য এলাকায় যেতে পারিনি। তবে ফোনে এলাকায় যোগাযোগ রেখেছি। মানুষকে সমস্যায় পড়তে দেব না। এলাকার অনেক মানুষকে ত্রিপল দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে। পুরুলিয়ার বিজেপি সংসদ সদস্য জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেন, রঘুনাথপুর-২ ব্লকে প্লাবনের কোনও খবর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

#Raghunathpur