রাত পর্যন্ত বার খুলে রেখে শাস্তির মুখে এই দুই অভিজাত হোটেল
সরকারি নির্দেশ অগ্রাহ্য করে ও আবগারি আইন ভেঙে বেশি রাতে পানশালা খুলে রাখার ‘শাস্তি’। ৬০ দিনের জন্য কলকাতার দু’টি নামী ও অভিজাত হোটেলকে (hotels) পানশালা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল আবগারি দপ্তর। টানা কয়েকদিন তদন্ত ও শুনানির পর মঙ্গলবার এই নির্দেশ এসে পৌঁছয় ওই দু’টি হোটেল কর্তৃপক্ষর কাছে। আবগারি দপ্তরের নির্দেশে পার্ক স্ট্রিটের একটি নামী, অভিজাত হোটেলের পানশালা আপাতত বন্ধই রয়েছে। তার উপর এই নির্দেশ আবগারি দপ্তরের।
কয়েক সপ্তাহ আগে পার্ক স্ট্রিটের একটি নামী, অভিজাত হোটেলে গভীর রাতে হানা দেয় পুলিশ। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ৩৭ জন। রাত একটার পরও করোনা বিধি লঙ্ঘন করে দু’টি ঘর ও করিডরে মদ্যপান করছিলেন বহু ব্যক্তি ও মহিলা। সঙ্গে চলছিল হুক্কা বারও। পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে আবগারি দপ্তরও তদন্ত শুরু করে। তখনই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই হোটেলের ন’টি পানশালা বন্ধ করার নির্দেশ দেয় আবগারি দপ্তর। এর মধ্যে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের একটি অভিজাত হোটেলের ভিতর বেশি রাতে জন্মদিনের পার্টি চলছে বলে খবর আসে আবগারি দপ্তরের কাছে।
মদ্যপানের (liquor) পার্টির খবর পেয়ে আবগারি আধিকারিকরা ওই হোটেলে হানা দেন। আলো নিভিয়ে সবাই পালিয়ে যান। এর পর ক্রমে দু’টি হোটেলের পানশালা ও প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা কর্তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে আবগারি দফতর। চাওয়া হয় হোটেল দু’টির ফুটেজও। পার্ক স্ট্রিটের হোটেলটির ফুটেজ পাওয়া গেলেও পাওয়া যায়নি ভবানীপুরের হোটেলটির ফুটেজ। আবগারি দপ্তরের এক কর্তা জানান, তাঁদের দপ্তরেই ‘শুনানি’ শুরু হয়। বেশ কয়েকটি শুনানির পর আবগারি দপ্তর নিশ্চিত হয় যে, সরকারি নির্দেশ ও আবগারি দপ্তরের আইন ভঙ্গ করে চলছিল মদ্যপানের পার্টি। সেই ‘শাস্তি’ হিসাবেই আবগারি দপ্তর নির্দেশ দেয়, আগামী ৬০ দিনের জন্য ওই দু’টি হোটেলের আবগারি লাইসেন্সই কার্যকর করা হবে না। তার ফলে দুই হোটেল মদ সরবরাহ বা মদ বিক্রি করতে পারবে না। সেই সূত্র ধরে ওই দুই হোটেলকে আগামী দু’মাসের জন্য পানশালা বন্ধ রাখতে হবে। কলকাতার অন্য হোটেল ও পানশালাগুলি আইন ভাঙছে কি না, সেদিকেও কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবগারি দপ্তর।