করোনা-যোদ্ধাদের জন্য পুষ্পবৃষ্টি করবে সেনা
প্রথমে থালাবাটি বাজানো। তার পর মোমবাতি জ্বালানো। তবে সে দু’টি কাজের ভারই ছিল দেশের জনগণের উপরে। আজ যখন গোটা দেশে লকডাউন আরও দুসপ্তাহ বাড়ানোর ঘোষণা নিয়ে নানা মহলে উৎকণ্ঠা বাড়ছে, তখন হাসপাতালগুলির উপর ফুলের পাপড়ি বর্ষণের কথা ঘোষণা করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তবে এ বারে সে কাজ করবে দেশের সেনাবাহিনী।
প্রথমে থালাবাটি বাজানো। তার পর মোমবাতি জ্বালানো। তবে সে দু’টি কাজের ভারই ছিল দেশের জনগণের উপরে। আজ যখন গোটা দেশে লকডাউন আরও দুসপ্তাহ বাড়ানোর ঘোষণা নিয়ে নানা মহলে উৎকণ্ঠা বাড়ছে, তখন হাসপাতালগুলির উপর ফুলের পাপড়ি বর্ষণের কথা ঘোষণা করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তবে এ বারে সে কাজ করবে দেশের সেনাবাহিনী।
চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়ত সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, করোনা-যোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা জানাতে এবং তাদের উদীপ্ত করতে গোলাপের পাপড়ি বর্ষণের মতো বেশ কিছু উৎসবের আয়োজন করা হবে আগামী দিনে।

রাওয়তের কথায়, “আমাদের নিরাপদে রাখতে যে সমস্ত করোনা-যোদ্ধা নিরন্তর প্রয়াস করে চলেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ভারতীয় বায়ুসেনা তাঁদের সম্মানে বিশেষ উড়ানের ব্যবস্থা করবে। মে মাসের ৩ তারিখে শ্রীনগর থেকে তিরুঅনন্তপুরম এবং ডিব্রুগড় থেকে কচ্ছ বায়ুসেনার বিশেষ উড়ান আকাশে ‘ফ্লাই পাস্ট’ করে করোনা-যোদ্ধাদের সম্মান জানাবে।’’
নৌবাহিনীর জাহাজগুলিকে আলো দিয়ে সাজানো হবে। পাশাপাশি তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন জেলায় করোনা-যুদ্ধে ব্যস্ত হাসপাতালগুলির মাথায় হেলিকপ্টার থেকে গোলাপের পাপড়ি বর্ষণ করা হবে। প্রায় প্রত্যেকটি কোভিড-১৯ হাসপাতালের সামনে বাজানো হবে সেনা ব্যান্ড।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিভিন্ন শিবিরে। যখন করোনার ধাক্কায় দেশের এমনিতেই বেহাল অর্থনীতি আরও সঙ্কটে, ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকদের অন্ন জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য সরকারগুলি, চিকিৎসকদের করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সাজসরঞ্জাম নেই— তখন এই ধরনের ব্যয়বহুল সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল, সে প্রশ্ন উঠছে।