অভিষেকের উপর হামলার প্রতিবাদ, আগরতলায় পুলিশের সদর দফতর ঘেরাও তৃণমূল ব্রিগেডদের
পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠনে হ্য়াটট্রিকের পর এবার ত্রিপুরার মাটিতেও ঘাসফুল ফোটাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই লক্ষ্যে কয়েকদিন আগেই ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রথম দিনই সেরাজ্যে আক্রান্ত হতে হয় তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। এদিকে সেই ঘটনার পর তিন দিনের বেশি সময় কেটে গেলেও কারোর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি পুলিশের তরফে। এই প্রতিবাদেই এবার সেরাজ্যের পুলিশের সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল (TMC) কর্মীরা।
এদিকে ত্রিপুরা পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। ঘটনার তদন্তে অগ্রতির বিষয়ে জানতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তৃণমূলের দাবি, সেই অভিযোগের তদন্ত কতদূর এগোল তা জানতেই পুলিশ হেডকোয়ার্টারে যান তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সহ বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী। কিন্তু তাঁদের কথা বলেনি ত্রিপুরা পুলিশ। শুধু তাই নয়, তাঁদের ঢুকতেও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিশের সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা।
কী ঘটেছিল অভিষেকের সফরের দিন? রাস্তায় থাকা পুলিশ কয়েকশো বিজেপি কর্মীদের না আটকে কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে পিছু হঠে যেতে বলেন। এমনকি আর এক ছাত্র নেতা সুদীপকেও পুলিশ ঘাড় ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের। প্রশ্ন ওঠে, করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে বিপ্লব দেবের সরকার এতজন বিজেপি কর্মীকে জমায়েত করার অনুমতি দিলেন? রাস্তায় থাকা পুলিশ কেন কয়েকশো বিজেপি কর্মীকে না আটকে তাঁদের মাত্র কয়েকজনকে পিছন ফিরে চলে যেতে বললেন? এই আবহে এবার পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। গোটা ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে আগরতলায়।