তৃণমূলে ফেরা নিয়েই অভিষেকের সঙ্গে কথা বললেন রাজীব?
বিজেপির মায়া কাটিয়ে তৃণমূলে ফিরছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)? শুক্রবার আরও জোরালো হয়েছে এই জল্পনা। সূত্রের খবর, এ দিন অভিষেকের (Abhishek Banerjee) ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে যান রাজীব। দু’জনের মধ্যে মিনিট ৩০ কথা হয়েছে।
ভোটের আগে চার্টার্ড বিমানে দিল্লি উড়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব (Rajib Banerjee)। ডোমজুড়ে বিজেপি প্রার্থীও হন। পরাজিত হওয়ার পর থেকে দলের সঙ্গে বাড়তে থাকে তাঁর দূরত্ব। কোনও কর্মসূচিতেই হাজির হননি। তদুপরি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে ফেসবুকে পোস্টও করেন রাজীব (Rajib Banerjee)। ‘সমালোচনা তো অনেক হল… মানুষের বিপুল জমসমর্থন নিয়ে আসা নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি, আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভালোভাবে নেবে না।’
অতিসম্প্রতি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বাড়িতে গিয়ে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ সারেন রাজীব (Rajib Banerjee)। তার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মাতৃবিয়োগের পর তাঁর নাকতলার বাড়িতে হাজির হন। তৃণমূল সূত্রের খবর, ভোটের আগে দল ছাড়াদের ফিরিয়ে নেওয়া নিয়ে নরমপন্থী ও চরমপন্থী ভাগ করে দিয়েছেন নেত্রী। কাকে নেওয়া হবে, সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কুণাল ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এ দিন ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে অভিষেক ও রাজীবের আধ ঘণ্টার বৈঠকে কি ‘ঘরওয়াপসি’র চূড়ান্ত ফয়সলা হল? সংবাদ মাধ্যমকে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন,’রাজীবের যাওয়াটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। তিনি নিজেই বলছেন। ব্যক্তি কুৎসার বিরোধিতা করেছে। ওঁর পক্ষে উগ্র হিন্দুত্ব সহ্য করা সম্ভব হচ্ছিল না। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।’