লকডাউনে একঘেয়েমি কাটাতে দেখে ফেলুন এই বাংলা থ্রিলার ছবিগুলি
কে বলে থ্রিলিং ছবি শুধু বিদেশেই হয়। বাংলাতেও এমন অনেক রহস্য সিনেমা হয়েছে, যা দেখতে বসলে চেয়ার ছেড়ে ওঠার জো নেই। ভুলে যেতে পারেন ইংরাজি থ্রিল দেখার অভ্যাস।
দেখে নিন এমনই কিছু টানটান বাংলা সিনেমা
চুপি চুপি আসে (১৯৬০)
সাদাকালো জমানার এক টানটান রহস্য গল্প। পরিচালনা করেছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র। অভিনয়ে ছবি বিশ্বাস, জহর গাঙ্গুলি, তরুণ কুমার, রবীন মজুমদার। এক খুনের ঘটনার অদন্ত করতে গিয়ে এক অতিথি নিবাসে বিভিন্ন অতিথির বিভিন্ন রহস্যময় অতীত প্রকাশ্যে আসে। এরা প্রত্যেকেই এই খুনের সন্দেহ ভাজন। সব শেষে ধরা পড়ে আসল খুনি। পুরো সিনেমা জুড়েই টান টান গল্প।
বৈদূর্য রহস্য (১৯৮৫)
পরিচালনা, কাহিনী এবং সঙ্গীত পরিচালনায় তপন সিংহ। অভিনয়ে বসন্ত চৌধুরি, মুনমুন সেন, তাপস পাল, মনোজ মিত্র, দুলাল লাহিড়ী। এক কৃষ্ণ মন্দিরে বহু মূল্যবান বৈদূর্য মণি চুরি হওয়া নিয়ে দানা বাঁধে রহস্য। বৈদূর্য মণি ছাড়াও চুরি হতে শুরু করে মন্দিরের আরো বিভিন্ন মূল্যবান রত্ন। শেষে এই রহস্যের সমাধান করে মন্দিরের দুই আবাসিক।
কুহেলি (১৯৭১)
তরুণ মজুমদারের এক রূদ্ধশ্বাস সিনেমা। অভিনয় করেছেন সন্ধ্যা রায়, বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অজিতেশ বন্দোপাধ্যায়, রবি ঘোষ, ছায়া দেবী, উৎপল দত্ত, দেবশ্রী রায়। হানাবাড়ি আক্ষা পাওয়া এক বাড়ির একের পর এক রহস্য উন্মোচনের দায়ভার নেন ঐ বাড়ির মেয়ের গভর্নেস।
চতুষ্কোণ (২০১৪)
পরিচালনায় সৃজিত মুখোপাধ্যায়। অভিনয়ে অপর্ণা সেন, চিরঞ্জিত, গৌতম ঘোষ, কৌশিক গাঙ্গুলি, পরম্ব্রত চট্টোপাধ্যায়। ছবিটি শুরু হয় একটি আত্মহত্যা দিয়ে। সব শেষে আরো একটি মৃত্যু। ছবির শেষের টুইস্টের জন্যে ছবিটা একবার দেখতেই হবে।
বাইশে শ্রাবণ (২০১২)
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালিত এক সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। অভিনয়ে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পরম্ব্রত চট্টোপাধ্যায়, আবির চট্টোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষ, রাইমা সেন। এক সিরিয়াল কিলিং এর তদন্তে নামেন এক যুবক এবং এক সাসপেন্ড হওয়া পুলিশ অফিসার। মাঝে রয়েছে প্রেম, বিরহ, রহস্য, রোমাঞ্চ।