দু’রকম ভ্যাকসিনের ডোজের পক্ষে ইতিবাচক বার্তা দিল আইসিএমআর
একই ব্যক্তিকে দু’রকম ভ্যাকসিনের ডোজের পক্ষে ইতিবাচক বার্তা দিল আইসিএমআর। তাদের গবেষণা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, একই ব্যক্তিকে দু’রকম ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ দেওয়ার পরেও কোনও ক্ষতি হয়নি। উল্টে প্রমাণ হয়েছে, এটি অনেক বেশি কার্যকর এবং নিরাপদও। শুধু তাই নয়, দু’রকম টিকার ‘মিশ্রণ’ করোনার আলফা, বিটা, ডেল্টার মতো মারাত্মক ভ্যারিয়েন্ট রুখতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন গবেষণার সঙ্গে যুক্ত আইসিএমআরের মহামারীবিদ্যা বিভাগের প্রধান ডাঃ সমীরণ পাণ্ডা।
মে মাসে উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগর জেলায় ‘ককটেল’ বা মিশ্র ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘটনা উঠে এসেছিল খবরের শিরোনামে। ষাটোর্ধ্ব ২০ জনকে দেওয়া হয়েছিল দু’রকম ভ্যাকসিন। ভুল করে। প্রথম ডোজ কোভিশিল্ড। ছ’সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ কোভ্যাকসিন। এই ঘটনায় গেল গেল রব উঠেছিল। তারই জেরে গবেষণায় নামে আইসিএমআর। ২০ জনের মধ্যে ১৮ জন রক্ত দিতে রাজি হন। অন্যদিকে, দু’টি ডোজই কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন নিয়েছেন, এমন ৪০ জন করে মানুষের রক্ত নিয়েও চলে গবেষণা।
ল্যাবরেটরিতে রক্তের সিরাম করোনার ভাইরাস ‘সার্স কোভ-টু’র উপর প্রয়োগ করা হয়। দেখা যায়, যাঁরা ভ্যাকসিনের মিশ্র ডোজ পেয়েছিলেন, তাঁদের রক্তের সিরাম ভাইরাসকে অনেক বেশি নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় তো দূর অস্ত, মিশ্র ভ্যাকসিনে ‘বিপরীতে হিত’ বলা চলে! কিন্তু এই গবেষণালদ্ধ ফলে এবার থেকে কি মিশ্র ডোজ দেওয়া হবে? ডাঃ পাণ্ডা বলেন, ‘আইসিএমআরের কাজ গবেষণা করে সরকারকে জানানো। টিকা কর্মসূচিতে ওই মিশ্র ভ্যাকসিন চালু হবে কি না, তা সরকার ঠিক করবে।’