জল দুর্ভোগ মেটাতে কলকাতায় আরও দুটো পাম্পিং স্টেশন তৈরি করবে পুরসভা
মধ্য এবং দক্ষিণ কলকাতায় জমা জলের সমস্যা মেটাতে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। ঠিক হয়েছে দু’টি নতুন পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা হবে। তার ডিপিআর তৈরির কাজ চলছে এখন। এই নতুন দু’টি পাম্পিং স্টেশনের আর্থিক অনুমোদনের জন্য পুরসভা দ্বারস্থ হবে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের।
দু’টি পাম্পিং স্টেশনের মধ্যে একটি তৈরি হবে মধ্য কলকাতায় মার্কাস স্কোয়ারে। অন্যটি যাদবপুরের গাঙ্গুলিবাগান সংলগ্ন বিবি ১নং ক্যানেলে। বর্তমানে মার্কাস স্কোয়ারে একটি ছোট পাম্পিং স্টেশন রয়েছে। তবে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হলে তা দিয়ে সেই জল নামানো সম্ভব হয় না। সেই পাম্পিং স্টেশনটি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভার নিকাশি বিভাগ। বলা ভালো, ওই পাম্পিং স্টেশনের পাশের জমিতেই তৈরি হবে নতুনটি। মার্কাস স্কোয়ারে যে নতুন পাম্পিং স্টেশনটি তৈরি করা হবে, তাতে চারটি বড় এবং চারটি ছোট পাম্প থাকবে। খরচ হবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। খরচ হবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। ফলে ঠনঠনিয়া, তারক প্রামাণিক রোড, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, সুকিয়া স্ট্রিট সহ মধ্য কলকাতার একাধিক রাস্তায় জমা জলের সমস্যা কমবে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, যাদবপুরের গাঙ্গুলিবাগানে বিবি ১নং নিকাশি খালের উপর বড় পাম্পিং স্টেশন তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন পুরসভার নিকাশি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তারক সিং। সূত্রের খবর, এই কাজের জন্য ডিপিআর তৈরির কাজ চলছে। এখানে জমির অভাবের কারণে নিকাশি খালের উপরেই এই পাম্পিং স্টেশন তৈরি করতে হচ্ছে। থাকবে আটটি পাম্প। এর ফলে যাদবপুর, যোধপুর পার্ক, লেক গার্ডেন্স, বালিগঞ্জ সহ বিভিন্ন অঞ্চলের জমা জলের সমস্যা মিটবে। কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, বিবি ১নং ক্যানেলের প্রজেক্ট তৈরি করতে প্রচুর টাকা খরচ হবে। ওখানে যাদবপুর থানার সামনের রাস্তায় একটি বড় বক্স ড্রেন রয়েছে। সেই ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালায় বহু বছর ধরে পলি জমেছে। সেই বক্স ড্রেন পরিষ্কার করতে হবে। যাদবপুর থানার সামনে চার রাস্তার মোড়ে চারদিক থেকে নিকাশির জল এসে পড়ে ওই বক্স ড্রেনে। তারপর সেখান থেকে ক্যানেলে গিয়ে পড়ে নিকাশির জল। ফলে সেই বক্স ড্রেন সহ সংলগ্ন সব নিকাশি নালা পরিষ্কার করতে অনেক সময় এবং টাকা লাগবে। ফলে যার জন্য অন্তত ৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন হতে পারে বলেই অনুমান।
দু’টি প্রকল্পেরই ডিপিআর তৈরি হয়ে গিয়েছে। এবার তা পাঠানো হবে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরে। সেখান থেকে বরাদ্দ মিললেই শুরু হবে কাজ।