রদবদলে অপসারিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের রাজনৈতিক কেরিয়ারে ইতি?
গত ৭ জুলাই মেগা রদবদল হয় মোদী মন্ত্রীসভায়। বাদ পড়েন ডিভি সদানন্দা গৌড়, রবিশঙ্কর প্রসাদ, রমেশ পোখরিওয়াল নিশঙ্ক, ডাঃ হর্ষবর্ধন, প্রকাশ জাভড়েকর, সন্তোষকুমার গাঙ্গোয়ার, ধোত্রে সঞ্জয় শামরাও, রতনলাল কাটারিয়া, প্রতাপচন্দ্র সারেঙ্গির মতো প্রবীণ মন্ত্রীরা। বাংলার দুই সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীও বাদ পড়েছেন।
রদবদলের সময় বিজেপির একটি সূত্রের খবর ছিল, খুব শীঘ্রই রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং প্রকাশ জাভড়েকরের মত দুই হেভিওয়েট প্রাক্তন নেতাকে নতুন পদে নিয়ে আসতে পারে বিজেপি। দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অথবা সহ–সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হতে পারে তাঁদের। কিন্তু এই খবরের পরেও কেটে গেছে বেশি কিছুটা সময়। এখনও কোন পদে নিযুক্ত করা হয়নি কেন্দ্রের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীদের। শোনা যায়, জেপি নাড্ডা তাদের, ‘বধাই হো’ বলার পর পরই মন্ত্রী হিসেবে তাদের অপসারণ করা হয়েছে!
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় মেগা রদবদলের পরই বিজেপির পক্ষ থেকে শোনা গিয়েছিল, এঁদের মধ্যে কয়েকজনকে দলের সাংগঠনিক বা অন্য কোনও পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কিন্তু তারপর কেটে গেছে একমাস। এখনও কেউ কোনও দায়িত্ব পাননি। এমনকী কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি গেরুয়া শিবিরকে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক রাজ্য নেতা বলেন, ‘ওই সব মন্ত্রীদের বিশেষ কারণে অপসারণ করা হয়েছে। সর্বভারতীয় স্তরে তাঁদের আর কোনও বড় দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে মনে হয় না।’ তাহলে তাঁরা কী করবেন? রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে ওই নেতা জানিয়েছেন।
হর্ষবর্ধন, প্রকাশ জাভড়েকরের মত প্ৰাক্তন মন্ত্রীদের সংসদ ভবনে তাও দেখা যাচ্ছে। সেন্ট্রাল হলে কফির আড্ডা বসাচ্ছেন প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ১০ মিনিটের জন্য হলেও অধিবেশনে উপস্থিত থাকছেন জাভড়েকর। বাবুল সুপ্রিয় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। ওদিকে পাত্তা নেই রবিশঙ্কর প্রসাদ, দেবশ্রী চৌধরীদের।
তাহলে কি রদবদলের সাথে সাথেই এই নেতাদের রাজনৈতিক কেরিয়ারে চিরতরে পূর্ণচ্ছেদ পড়ল? এই প্রশ্ন এখন বিজেপির অন্দরেই ঘুরপাক খাচ্ছে।