জবাব নেই সরকারের কাছে, পিছলো পেগাসাস শুনানি
সোমবার পর্যন্ত পিছল পেগাসাস মামলার শুনানি (Pegasus Hearing)। শীর্ষ আদালতে সময় চেয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে জানান, একমাত্র যশবন্ত সিনহা ছাড়া বাকি মামলাকারীদের কপি তিনি পেয়েছেন। কপিগুলি তিনি পড়ছেন সরকারের বক্তব্য জানবার জন্য সময়ের প্রয়োজন। সেই কারণেই সময় দেওয়া হচ্ছে।
মামলাকারীদের পক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ করার আর্জি জানানো হয়। নোটিশ করতে অস্বীকার করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, সোমবার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “মামলাকারীর সোশ্যাল মিডিয়ায় পেগাসাস নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করছেন। তারা আদালতে এসেছেন। আদালতের উপর ভরসা রাখা উচিত। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল করা, না করা তাদের ব্যাপার। তবে, আদালতের দ্বারস্থ যখন হয়েছেন তখন আদালতের উপর ভরসা রাখুন।”
গত বৃহস্পতিবার আদালতে উঠেছিল এই মামলা। শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে নয় জন মামলাকারীর আইনজীবীকেই সরাসরি সরকারের কাছে পিটিশন জমা দিতে বলা হয় ওই দিনই। আটজনই সেই পিটিশান জমা দিয়েছেন। সরকারের যুক্তি যতটা সময় পাওয়া গিয়েছে তাতে আটটি পিটিশন পড়ে ওঠা যায়নি, সেই কারণেই সময় দরকার।
বলাই বাহুল্য, এই ঘটনাপ্রবাহে নজর রাখছে গোটা দেশ কারণ রাজনৈতিক নেতা থেকে আইনজীবী, বিখ্যাত সাংবাদিক- বহু নাম রয়েছে পেগাসাসের তালিকায়। অভিযোগকারীদের স্পষ্ট প্রশ্ন এই আড়িপাতায় সরকার প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত কিনা, কত টাকা দিয়ে কোন দফতরের জন্য এই সফটওয়ার কেনা হয়েছিল। বলাই বাহুল্য সরকার ছাড়া নৈতিক ভাবে কোনও পক্ষই এই হাতিয়ার ব্যবহার করতে পারে না। সরকারের ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার মূলত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমতিসাপেক্ষ। অপহরণ, জঙ্গিদের মনিটারিং-এই সব ক্ষেত্রেই এই স্পাইওয়ার ব্যবহৃত হওয়ার কথা।