বিজেপির মোকাবিলার রণকৌশল ঠিক করতে কপিল সিব্বলের বাড়িতে বৈঠক বিরোধীদের
বিজেপিকে ২০২৪ সালের নির্বাচনে ঠেকাতে কোন পথে এগোতে হবে? এই পথ নিয়ে আলোচনা করতেই সোমবার রাতে নৈশভোজে বৈঠক করেন বিজেপি বিরোধী দলের নেতারা। উল্লেখ্য, সোমবার কপিল সিব্বলের জন্মদিন উপলক্ষে এই নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে সেখানে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল ২০২৪-এর পরিকল্পনা।
জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) প্রধান শারদ পাওয়ার এবং নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল, বিজু জনতা দল (বিজেডি) সাংসদ পিনাকী মিশ্র, তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং কল্যাণ ব্যানার্জি, ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) নেতা ওমর আবদুল্লাহ, সমাজবাদী পার্টি (এসপি) প্রধান অখিলেশ যাদব, শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত, বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি এবং ডি রাজা, শিরোমণি আকালি দলের নরেশ গুজরাল, দ্রাবিড় মুন্নেত্র কাজগমের (ডিএমকে) তিরুচি শিবা এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) প্রধান লালু প্রসাদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এই বৈঠকে কংগ্রেসের বিদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত জি-২৩ গোষ্ঠীর ২০ জন নেতাও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন শশী থারুর। গতবছর দলে সাংগঠনিক বদল আনার আবেদন জানিয়ে এঁরাই চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেসের অন্তরবর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে। এদিকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমও।
জানা গিয়েছে বৈঠকে শরদ পাওয়ার পরামর্শ দেন যে ২০২৪ সালে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘একের বিরুদ্ধে এক’ হিসেবে লড়াই করা উচিত বিরোধী দলগুলির। জোটবদ্ধ হয়ে বিজেপিকে মোকাবিলার পক্ষেই সওয়াল করেন মারাঠা সংট্রংম্যান। মহারাষ্ট্রের মহা আঘাড়ি সরকারে উদাহরণ টেনে এনে বলেন, ‘কে ভেবেছিল যে কংগ্রেস, এনসিপি, শিবসেন জোট গড়ে সরকার চালাতে পারবে?’ এদিকে বৈঠকে ডেরেকও পশ্চিমবঙ্গে মমতার জয়কে তুলে ধরেন। এদিকে ইয়েচুরি হরকিষাণ সিং সুরজিতের কথা মনে করিয়ে বলেন যে ৯০-এর দশকে ইউনাইটেড ফ্রন্ট গড়ার পিছনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। পরে ২০০৪ সালেও কংগ্রেসের সঙ্গে কেন্দ্রের জোট বাঁধার ক্ষেত্রে সুরজিতের বড় ভূমিকা ছিল বলে দাবি করেন ইয়েচুরি।