ওয়েটিং লিস্ট প্রার্থীদের চাকরির আশ্বাস দিলেন ব্রাত্য
২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসা বাকি প্রার্থীদেরও আবেদন খতিয়ে দেখে নিয়োগের (Recruitment) আশ্বাস দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। মঙ্গলবার বিকাশ ভবনে এসএসসি’র চেয়ারম্যান শুভশঙ্কর সরকার এবং অন্যান্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বেরিয়ে জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার মতো এই প্রার্থীদের প্রতিও সহানুভূতিশীল। সরকারও বিষয়টা সহানুভূতির সঙ্গেই দেখছে। আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখে, ন্যায্যতা বিচার করে এদের বিষয়ে পদক্ষেপ করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
২০১৮-১৯ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেও কেন এঁদের বিষয়ে ভাবতে দেরি হল? এ প্রসঙ্গে ব্রাত্যবাবু বলেন, কোভিড, নির্বাচন প্রভৃতি চলে আসার কারণেই দেরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ প্রায় ১৯০ দিন ধরে এই প্রার্থীরা রিলে অনশন, অবস্থান চালিয়ে গিয়েছেন। শনিবার সল্টলেকে এই প্রার্থীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধও হয় পুলিসের। তারপরে সরকার আরও বেশি জোর দিয়ে বিষয়টি দেখছে। কমিশনের চেয়ারম্যান শুভশঙ্কর সরকার বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রার্থীদের আবেদন খতিয়ে দেখে, যথার্থতা অনুযায়ী তাঁদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। চেয়ারম্যান বলেন, তিনি বা শিক্ষামন্ত্রী স্বপদে নিযুক্ত হওয়ার আগেই এই পরীক্ষা এবং নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। তাই আমাদের এখন বিষয়টি দেখতে হবে।
কবে থেকে তা শুরু করা যাবে? তিনি জানান, উচ্চ প্রাথমিকের প্রার্থীদের অভিযোগ শোনা শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। দিন চল্লিশেক সময় লাগবে। তারপরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের প্রার্থীদের বিষয়টি দেখা হবে। উচ্চ মাধ্যমিকের চাকরিপ্রার্থী দীপিকা বিশ্বাস বলেন, সব মিলিয়ে আনুমানিক দু’-আড়াই হাজার প্রার্থী রয়েছেন।
উচ্চ প্রাথমিকে প্রায় ১৯০০ প্রার্থী ইন্টারভিউয়ে উপস্থিত হননি। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এসএসসি চেয়ারম্যান বলেন, দীর্ঘসময় ধরে চলা প্রক্রিয়ায় এঁরা অধিকাংশই মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। কেউ কলেজেও চাকরি পেয়েছেন। আবার কয়েকজনকে চিনি যাঁরা ভিন রাজ্যেও কর্মরত। এই শূন্যপদ সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তী পরীক্ষার সঙ্গে তা যুক্ত করবে দপ্তর।