রেড জোনে খুলতে পারে মদের দোকান? কী বলছে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা?
লকডাউনের প্রথমদিন থেকেই সুরাপ্রেমীদের মনে সুখ নেই। বাকি সমস্ত কিছুর সঙ্গে তালা পড়েছিল মদের দোকানেও। লকডাউনের মেয়াদ যত বেড়েছে ততই উর্ধ্বমুখী হয়েছে সুরার দাম। ফলে তেষ্টায় গলা ফাটলেও কষ্ট বুকে চেপেই ঘুমিয়েছেন তাঁরা। তবে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়তেই সুরাপ্রেমীদের মুখে চওড়া হাসি ফুটেছে। কেন্দ্রের নির্দেশিকা দেখে অনেকেই বলছেন, কনটেনমেন্ট জোন বাদে প্রায় সর্বত্রই শর্তসাপেক্ষে খুলতে পারে মদের দোকান। তবে সবটাই রাজ্যের অনুমতির উপর নির্ভর করছে।
ইতিমধ্যে রেড জোনে থাকা দিল্লি-সহ একাধিক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও রাজ্য মদের দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে। বার বা শপিং মলে থাকা মদের দোকান খোলা যাবে না। এমনকী, বাজারের মধ্যে থাকা মদের দোকানও খোলার অনুমতি মিলবে না। বরং স্ট্যান্ড অ্যালোন দোকান খোলা যাবে। কেন্দ্র বলছে, কনটেইনমেন্ট জোন বাদে সমস্ত স্ট্যান্ড অ্যালোন ও সরকারের খাতায় নথিভুক্ত দোকান খোলা যেতে পারে। ফলে মদের দোকান বাদ পড়বে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
একমাত্র গ্রিনজোন বাদে অন্যত্র কোথাও মদের দোকান খোলা বা বন্ধ রাথার স্পষ্ট নির্দেশ কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় নেই। কিন্তু অত্যাবশকীয় ও অনাবশ্যকীয় দোকান খোলা রাখার অনুমতি আছে। সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা প্রয়োজনীয়। মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধিও। তবে সবক্ষেত্রে রাজ্যের অনুমতি থাকা বাধ্যতামূলক।
৪ মে থেকে লকডাউন আরও দুসপ্তাহের জন্য বাড়ল। তবে বেশকিছুটা ছাড়ও থাকবে। কিন্তু বাংলায় সেই ছাড় কতটা মিলবে, তা রাজ্যের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল। ফলে মদের দোকানও খুলবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। তবে আবগারি দপ্তর সূত্রে খবর, এখনও এ বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা আসেনি। ফলে কলকাতা-সহ তৎসংলগ্ন জেলার সুরাপ্রেমীদের তেষ্টা মিটবে কিনা, তা এখনই স্পষ্ট হচ্ছে না।