কন্যাশ্রীর জায়গায় ‘কন্নাশ্রী’ লিখে হাসির খোরাক দিলীপ ঘোষ
কখনও প্ল্যাকার্ডে ভুল বানান ছাপা হয়েছে। তো কখনও আবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভার মঞ্চে লেখা হয়েছে ভুল বানান। এবার সংসদে বিক্ষোভ দেখানের সময় সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (BJP state President Dilip Ghosh) হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডেই ভুল বানান। আর তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই মশকরা করতে ছাড়েননি নেটিজেনরা। এদিকে তুমুল কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। ঠিক কী ঘটেছিল?
এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সংসদের সামনে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি (BJP) সাংসদরা। যার মূল ইস্যু ছিল বাংলায় নারী নিরাপত্তা। সাংসদেরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। এই বিক্ষোভ চলাকালীন দিলীপ ঘোষের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা ছিল, “কন্যাশ্রী চাই না। সম্মান চাই।” কিন্তু দেখা যায়, প্ল্যাকার্ডে কন্যাশ্রীর বদলে লেখা ‘কন্নাশ্রী’। পরে অবশ্য ভুল বুঝতে পেরে প্ল্যাকার্ড বদলে ফেলেন তিনি।
এই ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল (TMC)। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “আগে বানান শিখুক। তার পর প্রতিবাদ করবে ওঁরা।” যদিও পালটা দিতে ছাড়েনি বিজেপিও। কটাক্ষের জবাব দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “বানান শিখতে হবে না। শিখেই এসেছি। কেন্দ্রীয় প্রকল্প স্রেফ নাম বদলে রাজ্য চালাচ্ছে। কেন্দ্রের টাকা আটকে রাখছে।”
গত শনিবার রাতে হাওড়ার আমতায় (Amta) এক অসুস্থ মহিলা গণধর্ষণের শিকার হন। অভিযোগ, মহিলার স্বামী ও ছেলে বাড়িতে না থাকার সুযোগে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ধর্ষণ করে ওই দুষ্কৃতীরা। তারপর হাত-পা বেঁধে পালিয়ে যায় তারা। গৃহবধূকে পরে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করেন। উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। রবিবার রাতে ৫ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উলুবেড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। দেবাশিস রানা ও কুতুবুদ্দিন মল্লিক নামে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরা তৃণমূল (TMC) নেতা বলে পরিচিত এলাকায়। গৃহবধূর স্বামী সক্রিয় বিজেপি (BJP) কর্মী হিসেবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election 2021) কাজ করেছিলেন। সেই প্রতিহিংসায় ধর্ষণ বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। এই ঘটনার প্রতিবাদেই এদিন বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সাংসদেরা।
দিলীপ ঘোষের এহেন ‘ভুল’ এর জন্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতা তথাগত রায়ও। নাম না করেই কার্যত দিলীপকে মূর্খ আখ্যা দেন তিনি। এমনকি বিদ্যাসাগরের প্রসঙ্গ টেনে এনে আবারও দিলীপকে আক্রমণ করেন। উল্লেখ্য, দিলীপ ঘোষ একসময় দাবি করেছিলেন সহজ পাঠ বিদ্যাসাগরের লেখা। এর থেকে আবার প্রমাণিত হল গেরুয়া শিবিরের অন্দরে ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে।