‘কন্নাশ্রী’ বানানের জের, দিলীপ ঘোষকে পাঠানো হল বর্ণ পরিচয়
সংসদের বাইরে তৃণমূল কংগ্রেসের কন্যাশ্রী প্রকল্পকে হেও করতে গিয়ে নিজেই হেও হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কারণ দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) প্ল্যাকার্ডে কন্যাশ্রী বানান ভুল লেখা ছিল। ‘কন্নাশ্রী’ লেখা ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি সবাই দেখেছে। আর তাতে হইহই পড়ে গিয়েছিল। এমনকী দলের শীর্ষ নেতা তথাগত রায় কার্যত দিলীপ ঘোষকে মূর্খ বলেছেন। এবার দেখা গেল অভিনব প্রতিবাদ। এবার বিজেপি নেতাকে বর্ণ পরিচয় পাঠালেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচী। রীতিমতো ই–মেল মারফৎ বর্ণ পরিচয়ের পিডিএফ পাঠানো হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। বিষয়টি দিলীপবাবু চেপে গেলেও কংগ্রেস নেতা লিখেছেন, ‘দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে এটা কর্তব্য।’
বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বরাবরই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন। গরুর দুধে সোনা থেকে সম্প্রতি দলের মহিলা কাউন্সিলরকে ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে রাখার মতো বিতর্ক তাঁর ঝুলিতে রয়েছে। তাই এর বেশি তাঁর কাছ থেকে কিছু আশা করা যায় না বলে মনে করনে তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। সেখানে কন্যাশ্রী বানান তিনি কন্নাশ্রী লিখবেন এটাই দস্তুর।
এবার তার প্রেক্ষিতে স্পিড পোস্টে শনিবার নাকি পৌঁছে যাবে বর্ণ পরিচয় বইও। দিলীপ ঘোষকে তীব্র কটাক্ষ করে কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, আশা করি এরপর থেকে বই পড়ে ডিসপ্লে বোর্ড তৈরি করবেন দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা বিষয়টি নিয়ে বেশ মজা নিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচী বলেন, ‘আমি দেখলাম সংসদের বাইরে দিলীপ ঘোষ–সহ বিজেপির সাংসদরা প্রতিবাদ করছেন। প্রতিবাদের ইস্যু নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই। কিন্তু বাঙালি হিসাবে যা চোখে পড়ল প্ল্যাকার্ডগুলিতে যে সব বানান লেখা ছিল। ব্যাকরণের স্পষ্ট জ্ঞান না থাকাতেই এটা ঘটেছে। তাই দায়িত্বশীল বাঙালি হিসাবে মনে হয়েছে, ময়াদিল্লির বুকে তাঁদের হাতে ওরকম বানান দেখে মানুষ কী ভাববে! তাই বর্ণ পরিচয় পাঠানো উচিত। বাঙালির সম্মান যেন অটুট থাকে।’