বামেদের কাছে টানতেই ত্রিপুরার তৃণমূল প্রতিনিধি দলে ক্ষিতি-কন্যা বসুন্ধরা?
ত্রিপুরায় (Tripura) বিজেপি বিরোধিতায় একদা সেখানকার শাসকদল বামেদেরও কাছে টানতে চায় তৃণমূল। রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুর দুই দলের মধ্যে এই ‘বন্ধুত্বে’র বার্তা আগেই দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল। আর শুক্রবার ত্রিপুরার মাটিতে ফের পা রেখে আবারও সে কথা মনে করালেন ব্রাত্য বসু। বললেন, ”ত্রিপুরায় বামেদের সঙ্গে পশ্চিমবাংলার বামেদের পার্থক্য আছে।” আর ত্রিপুরায় বামেদের কাছে টানতে এবার ব্রাত্যর সঙ্গী বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামীর মেয়ে বসুন্ধরা গোস্বামী। তবে বামেদের সঙ্গে জোট নয় বলেও দাবি তাঁর।
সূত্রের খবর, ত্রিপুরায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করতে সে রাজ্যের বামফ্রন্ট শিবিরকে উজ্জীবিত করে তুলতে চাইছে তৃণমূল (TMC)। তার একটা বড় কারণ, এ রাজ্যের মতো বামেদের (Left) ভোট বিজেপিতে যাওয়া আটকানো। সেই কারণেই ত্রিপুরায় নেমেই বিজেপিকে ছেড়ে বামেদের বিদ্ধ করার পথে গিয়েছেন ব্রাত্য বসু। বসুন্ধরা সম্প্রতি তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় লিখে শিরোনামে এসেছেন। স্বাধীনতা পূর্ব থেকে আধুনিক যুগে সমাজ গঠনে নারীদের ভূমিকা নিয়ে লিখতে গিয়ে দলের কোপে করেছিলেন আরেক বাম শীর্ষ নেতা অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা বিশ্বাস। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে বামেদের ভূমিকার সমালোচনা করেছিলেন বসুন্ধরা। তবে বসুন্ধরা খাতায়-কলমে তৃণমূলের কর্মী। তিনি ২০১৭ সালেই আনুষ্ঠানিকভাবে দলবদল করেছেন। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এভাবে বসুন্ধরাকে পড়শি রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সেখানে বামেদের বিরুদ্ধে মুখ খুলে ত্রিপুরার বামেদের বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে উজ্জীবিত করতে চাইছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, ৬০ আসনের ত্রিপুরায় বামেদের দখলে এখন ১৬। পাশাপাশি, পাহাড়ের জনজাতি শক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে তৃণমূল কোনওভাবেই বামেদের সঙ্গে জোট করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ফলে একদিকে বাম, অন্যদিকে রাজা প্রদ্যোত মানিক্য বর্মনের সঙ্গে তৃণমূল হাত ধরাধরি করে না নেমেও যদি সমমনস্ক হয়ে নামতে পারে, সেক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী বাম ও রাজশক্তিকে এক করে লড়াইটা তৃণমূলের কাছে খুব কঠিন হবে না বলে মনে করছে দলীয় নেতৃত্ব।