সিরাজের সামনে ধূলিস্যাৎ ইংল্যান্ড, টেস্টের দ্বিতীয় দিনে স্বস্তিতেই ভারত
একেই বলে টিম গেম। ব্যাট হাতে গোটা ক্রিকেট বিশ্বকে লক্ষ্মীবারে মুগ্ধ করেছিলেন কেএল রাহুল (KL Rahul)। এবার বল হাতে তুলে নিয়ে ভারতকে অক্সিজেন জোগালেন মহম্মদ সিরাজ (Md Siraj)। তাঁর দুর্দান্ত স্পেলের সৌজন্যেই দ্বিতীয় দিনের শেষে স্বস্তিজনক জায়গায় টিম ইন্ডিয়া।ভারতের থেকে আপাতত ২৪৫ রানে পিছিয়ে জো রুটরা।
চোখের নিমেষে যেন শেষ হয়ে গিয়েছিল নটিংহ্যাম টেস্ট। বৃষ্টি, খারাপ আলো, মেঘলা আকাশের ফাঁকে ম্যাচের দেখাই মেলেনি ঠিকঠাক। দর্শকদের সেই আক্ষেপই যেন মেটাচ্ছে লর্ডস। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) উপস্থিতিতে টেস্ট কেরিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিটি হাঁকান কেএল রাহুল। শুধু তো শতরান করা নয়, তাঁর নির্ভরযোগ্য ব্য়াটিং নীরবে বলে দিচ্ছিল, তরুণ প্রজন্মও টেস্টের মাহাত্ম্য বোঝে। ম্যাচের প্রথম দিন রোহিত ও কোহলির সঙ্গে জুটি বেঁধে স্মরণীয় একটি ইনিংস উপহার দেন ভারতীয় ওপেনার। তবে শুক্রবার রবিনসনের ডেলিভারিতে ক্যাচ তুলে শুরুতেই ফেরেন প্যাভিলিয়নে রাহুল। তাঁর নামের পাশে তখন জ্বলজ্বল করছে ১২৯টা রান। এরপর স্কোরবোর্ডে আরও খানিকটা রান যোগ করেন অলরাউন্ডার জাদেজা।
চলতি সিরিজ যেন নতুন করে টেস্টে জাদেজাকে আবিষ্কার করছে। প্রথম টেস্টের পর এবারও ব্যাট হাতে ভরসা জোগান তিনি। ৪০ রান করে দলকে সাড়ে ৩৫০-র গণ্ডি পের করান। তবে প্রথম দিন দেখে যে বিরাট স্কোরের আভাস মিলেছিল, তেমনটা হল না। টেল এন্ডারদের ব্যর্থতা আর অ্যান্ডারসনের বুড়ো হাড়ে ভেলকিতে ৩৬৪ রানেই শেষ হয় ভারতের প্রথম ইনিংস।
টস জিতে বিরাটদের প্রথমে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা যেমন রুটদের পক্ষে যায়নি, তেমন ব্যাট করতে নেমেও শুরুতেই অস্বস্তিতে পড়তে হল ইংল্যান্ডকে। টপ অর্ডারে ধস নামালেন সিরাজ ও শামি। বার্নস, সিবলি ও হামিদকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়ে ইংল্যান্ডকে রীতিমতো চাপে ফেলে দেন তাঁরা। তবে এই অবস্থা থেকেও ম্যাচ অনায়াসে নিজেদের হাতে মুঠোয় এনে ফেলার ক্ষমতা রাখেন দিনের শেষে ক্রিজে টিকে থাকা দুই ব্যাটসম্যান বেয়ারস্টো ও রুট।
তাই সিরিজে এগিয়ে যেতে এখনও অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে ভারতীয় বোলারদের। তবে সিরাজ-শামি-ইশান্ত-জাদেজারা তেড়েফুঁড়ে উঠলে বিশ্বের দুই নম্বর দলকে আটকায়, সাধ্য কার।