যোগীরাজ্যে নির্বাচন কমিশনের সাইট হ্যাক করে ধৃত যুবক
রাস্তার ধারে ছোট্ট একটি দোকান। কম্পিউটারের বিভিন্ন কাজকর্ম হয়। স্থানীয়রা এমনটাই জানতেন। কিন্তু, ওই দোকানের আড়ালেই যে ভুয়ো ভোটার কার্ড(Voter Card) তৈরির কারবার চলত, সে কথা তাঁরা ঘূণাক্ষরেও টের পাননি। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট হ্যাক করে ওই প্রতারণা চক্র চালাত বিপুল সাইনি নামে ওই যুবক। বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। সেই সঙ্গে ওই দোকান থেকে কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ও অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিপুলের এই ‘কীর্তি’র কথা জানতে পেরে হতবাক এলাকার লোকজন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি যোগী রাজ্যের সাহারানপুরের নকুর এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, বিপুল কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে স্নাতক। সেই জ্ঞান ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট হ্যাক করেছিল নকুরের ওই যুবক। কমিশনের আধিকারিকরা যে আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন কাজ করতেন। সেটি কোনওভাবে জেনে গিয়েছিল বিপুল। তা ব্যবহার করে হাজার হাজার ভুয়ো ভোটার কার্ড তৈরি করেছে সে। সম্প্রতি ওয়েবসাইটে কিছু অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন কমিশনের আধিকারিকরা। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থাকে তাঁরা বিষয়টি জানান। শুরু হয় তদন্ত। তাতেই বিপুলের খোঁজ মেলে। বৃহস্পতিবার সাইবার সেলের গোয়েন্দা এবং সাহারানপুর ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা তাকে গ্রেপ্তার করে। তল্লাশি চালানো হয় দোকানেও। সেখান থেকে কম্পিউটার হার্ডডিস্ক ও অন্যান্য সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাহারানপুরের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট এস চানাপ্পা বলেন, কেন বিপুল ভোটার কার্ড তৈরি করত এবং সেগুলি কী কাজে ব্যবহার হতো, এখনই তার জবাব দেওয়া সম্ভব নয়। জেরায় এক সঙ্গীর কথাও জানিয়েছে অভিযুক্ত। তার নাম আরমান মালিক। বাড়ি মধ্যপ্রদেশের হারদা জেলা। আরমানের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচছে। এদিকে, বিপুলকে দিল্লি নিয়ে জেরা করতে চাইছে তদন্তকারী সংস্থা।
তবে এই ঘটনায় আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাদের বক্তব্য, ভোটার কার্ডের জন্য নাম নথিভুক্ত করার জন্য একাধিক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে কেউ একজন আইডি ও পাসওয়ার্ড অভিযুক্তকে দিয়েছিল। কমিশনের ডেটাবেস সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।