আবার অমানবিকতা কেন্দ্রের! পিএফ এর সুদ প্রসঙ্গে ‘ধৈর্য ধরার’ পরামর্শ
চলতি আর্থিক বছরের সাড়ে চার মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে এখনও গত আর্থিক বছরের পিএফের (Provident Fund) সুদের (Interest) টাকা জমা পড়েনি। কবে পড়বে? এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজশনের উত্তর, শীঘ্রই হবে। ধৈর্য ধরুন!
লক্ষ লক্ষ পিএফ গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে সুদ দেওয়া নিয়ে টালবাহানা নতুন নয়। নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বছরের পর বছর নির্দিষ্ট সময়ে সুদ জমা পড়ে না অ্যাকাউন্টে। প্রতি বছর মার্চ মাস পর্যন্ত এক বছরে যে টাকা সুদ বাবদ প্রাপ্য হয় গ্রাহকের, তা এপ্রিলে, অর্থাৎ অর্থবর্ষের গোড়াতেই মিটিয়ে দেওয়ার রীতি। কিন্তু সেই রীতিতে ছেদ টেনেছে কেন্দ্র। কখনও চার মাস, কখনও ছ’মাসে সেই টাকা জমা করেছে কেন্দ্র। গত বছর আবার সব রেকর্ড ছাপিয়ে ১০ মাসের মাথায়, অর্থাৎ জানুয়ারিতে সেই টাকা মিটিয়েছিল তারা। তবে গত অর্থবর্ষে অবশ্য নিজেদের দেওয়া কথা নিজেরাই রাখেনি সরকার। তারা জানিয়েছিল, দু’টি কিস্তিতে মেটানো হবে সুদের টাকা। একটি দেওয়া হবে দেওয়ালির সময়, অপরটি দেওয়া হবে ডিসেম্বর নাগাদ। কিন্তু তা একটি কিস্তিতেই মেটানো হয় জানুয়ারিতে।
গত আর্থিক বছরের জন্য পিএফে ৮.৫ শতাংশ সুদ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সেই টাকা এখনও অ্যাকাউন্টে আসেনি। স্বাভাবিকভাবেই সেই বিষয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে। স্যোশাল মিডিয়ায় এই নিয়ে সরব হয়েছেন তাঁদের একাংশ। সম্প্রতি ট্যুইটারে এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। তারই জবাবে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, সুদ জমা দেওয়ার কাজ বা প্রসেসিং চলছে। শীঘ্রই তা গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা করা হবে। আপনারা ধৈর্য ধরুন।
কতদিন ধৈর্য ধরতে হবে, সেই বিষয়ে অবশ্য মুখ খোলেনি প্রভিডেন্ট ফান্ড কর্তৃপক্ষ। নিয়ম অনুযায়ী যে সুদের হার ঘোষণা করে তারা, তার জন্য অর্থমন্ত্রকের অনুমোদন নিতে হয়। প্রতিবারই সুদ দেরিতে দেওয়ার বিষয়ে দপ্তর অজুহাত দেয়, তারা অর্থমন্ত্রকের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এবার সেই অনুমোদনের কাজ কতটা এগল, বা আদৌ এগল কি না, সেই বিষয়ে রা কাড়েনি তারা। ফলে তাড়াতাড়ি সুদ জমা পড়ার বিষয়ে পিএফ দপ্তরের প্রতিশ্রুতি মিললেও, তা আদৌ বাস্তবায়িত কবে হবে, সেই বিষয়ে ধন্দ কাটছে না লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের।