১৮ই আগস্টকে নেতাজীর মৃত্যুবার্ষিকী বলে বিতর্ক উস্কে দিলেন বিজেপি নেতা
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে নিয়ে বিজেপি সরকারে দ্বিচারিতা চলছেই। ক্ষমতায় আসার পর কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা করে নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, নেতাজির ফাইল প্রকাশ্যে আনা হবে। দেশ নেতাজির মৃত্যুদিন মানে না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কথায় নেতাজির মৃত্যুরহস্য রয়েই গিয়েছে। সেখানে মোদীর মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক কীভাবে নেতাজির মৃত্যুদিন পালন করেন? সামাজিক মাধ্যমে আজকের দিনকে নেতাজির ‘প্রয়াণ দিবস’ উল্লেখ করে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান প্রদেশের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পোখরিয়াল।
নেতাজির মৃত্যু নিয়ে সরাসরি কোনও সরকারই মুখ খোলেনি। পঞ্চাশের দশকে শাহনওয়াজ কমিশন জানিয়েছিল, তাইওয়ানে ১৮ অগাস্ট, ১৯৪৫ সালে বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজির মৃত্যু হয়েছে। নেহেরু সরকার তা মেনে নেয়। তারপরও যাটের দশকে খোসলা কমিশন গঠন করা হয়েছিল। দুই কমিশন যখন একই সুর শুনিয়েছিল কিন্তু নেতাজির বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু মুখার্জি কমিশন খারিজ করে দেয়। যদিও কংগ্রেস সরকার আমল দেয়নি মুখার্জি কমিশনের রায়কে।
আজ ‘প্রয়াণ দিবসে’ নেতাজিকে স্মরণ করে রীতিমত পোস্ট করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক (Ramesh Pokhriyal Nishank)।
প্রসঙ্গত, এর আগে নেতাজির মৃত্যু নিয়ে টুইট করে বেকায়দায় পড়েছিলেন রাজনাথ সিংহ এবং অরুণ জেটলি। এবার বিতর্কিত পোস্টে নেতাজির মৃত্যুদিন কার্যত ঘোষণা করলেন আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
আজ সকালে কংগ্রেসের দলীয় টুইটার হ্যান্ডেল থেকেও টুইট করে শ্রদ্ধা জানান হয়েছে নেতাজিকে। যদিও প্রয়াণ দিবস কথাটি লেখা নেই, নেতাজির ছবির নিচে তাঁর প্রয়াণের তারিখ লেখা ১৮ই অগস্ট ১৯৪৫।