বাড়ানো হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’- এর সময়সীমা, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
‘দুয়ারে সরকার’ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে রাজ্যে। প্রতিদিন জেলায় জেলায় শিবিরগুলিতে উপচে পড়ছে ভিড়। করোনা বিধির তোয়াক্কা না করে ঠাসাঠাসি করে শিবিরের বাইরে জমায়েত করছেন বহু মানুষ। সেই সমস্যা মেটাতে ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar)-এর সময়সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে বাড়ানো হতে পারে ক্যাম্পের সংখ্যাও। সেকথাও জানালেন তিনি।
চলতি বছরের বহুচর্চিত বিধানসভা নির্বাচনের আগে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তার মধ্যেই ছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তফশিলি ও আদিবাসী মহিলাদের মাসে ১০০০ টাকা এবং জেনারেল বা সাধারণ মহিলারা মাসে ৫০০ টাকা করে পাবেন। বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিল তৃণমূল সরকার। চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। প্রকল্পের সুবিধা পেতে ভোর রাত থেকেই ক্যাম্পগুলিতে জড়ো হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। ভিড়ের চাপে আহত হচ্ছেন বহু মানুষ। এই সমস্যা যাতে না হয়, সেই কারণে পদক্ষেপ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। মাত্র ৩ দিনেই ৪৬ লক্ষ আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এরপর আমজনতাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘হুড়োহুড়ি করার কোনও প্রয়োজন নেই। এখনও অনেক দিন বাকি রয়েছে। তাই ধীরে সুস্থে আবেদন করুন সকলে। প্রত্যেকে প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।’ এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন প্রয়োজনে সময় বাড়ানো হবে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের সময়। বাড়ানো হতে পারে শিবিরের সংখ্যাও। এত সমস্যা মিটবে বলে আশাবাদী আমজনতা। যাতে কোনওভাবে প্রতারকদের ফাঁদে না পড়েন আবেদনকারীরা তা নিয়ে এদিন ফের সকলকে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত ৫ মে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বিধিনিষেধের কথা ঘোষণা করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিলেন।ইতিমধ্যে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হয়েছে। এই পরিস্থিতি অনেকেরই প্রশ্ন, লোকাল ট্রেন পরিষেবা ফের কবে থেকে শুরু হবে। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলে ভ্যাকসিনেশন ঠিকমতো হলেই লোকাল ট্রেন চলবে’। তিনি আরও বলেন, ‘এখনও রাজ্যের ১৪ কোটির বদলে ৩ কোটি ভ্যাকসিন মিলেছে। কলকাতায় এখনও পর্যন্ত ৭৫ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। হাওড়ায় এখনও পর্যন্ত ৮৫ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।’