করোনার পর কাজ শুরুর বিশেষ প্রস্তাব টলিউডের
টলিউডের শুটিংয়ে কত বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে লকডাউন পর্বের শেষে? ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার প্রস্তাবনার দিকে তাকিয়ে মাথায় হাত পড়ছে টলিউডের কিছু প্রযোজক, পরিচালক থেকে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। এই প্রস্তাবনা অনুযায়ী কী কী নিয়ম বদলাবে টলিপাড়ার শুটিংয়ে?
টলিউডের শুটিংয়ে কত বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে লকডাউন পর্বের শেষে? ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার প্রস্তাবনার দিকে তাকিয়ে মাথায় হাত পড়ছে টলিউডের কিছু প্রযোজক, পরিচালক থেকে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। এই প্রস্তাবনা অনুযায়ী কী কী নিয়ম বদলাবে টলিপাড়ার শুটিংয়ে?
সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং অ্যান্ড হেলথ কশন রেগুলেশনের আওতায় ১৪টি নিয়ম রয়েছে সেখানে। শুটিং ফ্লোরে মাস্ক, গ্লাভস, জুতো পরতে হবে টেকনিশিয়ানদের। দু’ জন কুশলীর মধ্যে ৩ ফুটের দূরত্ব থাকতে হবে। নন-ফিকশন শোয়ে অ্যাঙ্কর আর প্রতিযোগীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। রাজ্য করোনামুক্ত হওয়ার আগে আউটডোর শুটিংয়ের অনুমতি দেওয়া হবে না। কোনও প্রেগন্যান্ট শিল্পীকে নিয়ে শুটিং করা যাবে না। টেকনিশিয়ানদের বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসতে হবে, যার মূল্য প্রযোজকের তরফে দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে।

বাংলা টেলিভিশনে ধারাবাহিকের কিছু দৃশ্যে ড্রয়িংরুমে ছ’-সাত জন শিল্পীর মধ্যে সংলাপ বিনিময়ই হল মূল আকর্ষণ। ’শ্রীময়ী’ থেকে ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’র ক্ষেত্রেও যা সত্যি।
কিন্তু এ বার ছ’ জন শিল্পী তিন ফুট করে দূরত্ব রেখে সংলাপ বললে, এমন এপিসোডের শুটিং করা সম্ভব নয়। সে কারণেই কিছুদিনের জন্য অধিকাংশ দৃশ্যে দু’ জন বা বড়জোর তিন জন শিল্পীকে রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। স্টুডিয়ো ফ্লোর বা টয়লেট স্যানিটাইজেশনের ওপর জোর বাড়ানোর প্রস্তাবও রয়েছে।
শিল্পীদের সহযোগী বা ড্রাইভার শুটিং ফ্লোরে ঢুকতে পারবেন না। তাঁদের নিজেদের মেকআপ কিট ব্যবহার করতে হবে। শিল্পীদের কলটাইমও মেনে চলতে হবে। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা বা সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা এমনই কোনও সময়সীমা নির্দিষ্ট করে চলবে শুটিং। টেকনিকাল ইউনিটের জন্যও ১৪টি নিয়ম মেনে চলার প্রস্তাব রয়েছে।
করোনা পরবর্তী শুটিং পর্বে বাংলা ফিকশনের ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩০ জন টেকনিশিয়ান নিয়েই শুটিং সামলাতে হবে, এমন প্রস্তাব এসেছে। নন-ফিকশনে জোন ভাগ করে ৬০ জনের শুটিং ইউনিটকে কাজের অনুমতি দেওয়া হবে।
মে ১৭ পর্যন্ত লকডাউন। কিন্তু জুন মাসে গ্রিন বা অরেঞ্জ জোনের স্টুডিয়ো চত্বরে কাজ শুরু হতে পারে, এমন আশায় বাঁচছেন টলিপাড়ার অনেকে। কারণ করোনার প্রকোপে তাঁদের এপ্রিল-মে মাসে কোনও রোজগার হয়নি। যদিও কবে থেকে শুটিং শুরু হবে, তার কোনও নির্দেশ আপাতত রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হয়নি।