ফের ট্রেনে জুড়ল দীঘা-উত্তরবঙ্গ! খুশি পর্যটকরা
করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দেড়বছর বন্ধ থাকার পর দীঘা-নিউ জলপাইগুড়ি পাহাড়িয়া এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হল। পাহাড় থেকে সমুদ্র ট্রেন চালু হওয়ায় খুবই খুশি পর্যটকরা। খুশি দীঘার হোটেল ব্যবসায়ীরাও। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে আসা ট্রেনটি শনিবার সকালে দীঘা রেলস্টেশনে এসে পৌঁছয়। এদিন ট্রেনে পর্যটক সমাগম ভালোই ছিল। দীর্ঘদিন পর উত্তরবঙ্গ থেকে অনেক সংখ্যক পর্যটক দীঘায় এলেন। তবে পর্যটকদের একটাই দাবি, দীঘাগামী এক্সপ্রেস, লোকাল থেকে শুরু করে সব ধরনের ট্রেনগুলিকে নিয়মিত চালানোর ব্যবস্থা করা হোক। তাহলে দীঘায় আসা কিংবা দীঘা থেকে যাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারণে গত বছর সর্বত্র ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পাহাড়িয়া এক্সপ্রেসও বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে ট্রেন পরিষেবা খানিকটা স্বাভাবিক হলেও পাহাড়িয়া এক্সপ্রেসের মতো অনেক ট্রেন বন্ধ ছিল। এবার আত্মশাসন শিথিল হওয়ার পর গত ১২ আগস্ট দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের পক্ষ থেকে দীঘা-নিউ জলপাইগুড়ি পাহাড়িয়া এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেইমতো শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ে। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তমতো ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে দীঘাগামী কয়েকটি সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস ট্রেন চালু রয়েছে। এর আগে দীঘা-আসানসোল, দীঘা-বিশাখাপত্তনম এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হয়েছে। এবার দীঘা-নিউ জলপাইগুড়ি ট্রেন পরিষেবা শুরু হল।
এদিকে শনিবার সকালে ট্রেনটি সাড়ে ১১টায় দীঘায় এসে পৌঁছয়। তারপর বিকেলে ৫টা ২৫মিনিটে ফের নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি।
পাহাড়ে বেড়ানোর উদ্দেশে দীঘা থেকে এদিন অনেকেই ট্রেনে চেপে বসেন। এদিন মালদা থেকে বেড়াতে আসা উজ্জ্বল পাল, পার্থসারথী নন্দী প্রমুখ বলেন, আমরা বহুদিন পরে দীঘায় বেড়াতে এলাম। খুবই ভালো লাগছে। দীঘা-নিউ জলপাইগুড়ি ট্রেন চালু হওয়ায় সহজেই সেই সুবিধাটা আমরা পেয়ে গেলাম। বাসে জার্নি খুব কষ্টকর হয়। সেই তুলনায় ট্রেন জার্নি অনেকটাই সুখকর এবং স্বাচ্ছ্যন্দের। দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, করোনা-পরিস্থিতির কারণে হোটেল ব্যবসা ব্যাপকভাবে মার খেয়েছে। একটু একটু করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। আমরা চাই, একে একে দীঘাগামী সব ধরনের ট্রেন চালু করুক সরকার। তাহলে দীঘায় পর্যটক সংখ্যা বাড়বে। পর্যটক সংখ্যা বাড়লে এখানকার হোটেল ব্যবসারও উন্নতি সাধন হবে।