শুধুমাত্র হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসবেই কোভিড বিধিনিষেধ, বিস্ফোরক মন্তব্য কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়কের
অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে উৎসবে পালনে কোনও বাধা নেই। অথচ হিন্দুদের উৎসবেই বারবার চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে কোভিড সতর্কতার (COVID restrictions) বিধিনিষেধ। এমনটা করা উচিত নয়। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন কর্ণাটকের (Karnataka) বিজেপি বিধায়ক বসনগৌড়া পাতিল। একটি সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি আরও দাবি করলেন, তিনি হিন্দু উৎসব (Hindu Festival) পালনের সময় কোভিড বিধি মানতে রাজি নন। তাঁকে থামাতে গেলে গুলি চালাতে হবে পুলিশকে।
জানা যাচ্ছে, মঞ্চে পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট ও জেলার কালেক্টর উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কাউকে পরোয়া না করেই অবলীলায় এই ধরনের মন্তব্য করেছেন ওই বিজেপি বিধায়ক। তিনি সরাসরি দাবি করেন, কোভিড বিধি না মেনেই হিন্দু উৎসব পালন করবেন তিনি। তাঁর কথায়, ”আমাকে আটকাতে হলে গুলি করতে হবে।”
আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। কর্ণাটকের শাসক দল বিজেপি। যা কিছু কোভিডবিধি রাজ্যে চালু আছে তা নতুন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বম্মাইয়ের নির্দেশেই হয়েছে। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি দেখেই তাঁর সরকার অতিরিক্ত সতর্কতার পথে হাঁটতে চাইছে। এই পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরেরই এক বিধায়ক কী করে এই ধরনের কথা বলতে পারেন, প্রশ্ন সেটাই।
প্রসঙ্গত, কোভিড বিধি না মেনে কুম্ভমেলায় বিপুল পুণ্যার্থী সমাগম নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয়েছিল। এরপরই গত মাসে কানোয়ার যাত্রা বাতিল করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। প্রথমে অনুমতি দিলেও পরে সুপ্রিম কোর্টের ধমকে পিছিয়ে আসে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারও। যদিও বকরি ইদ উপলক্ষে লকডাউনে ছাড় দেওয়ায় বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল কেরলের বাম সরকারকে। ধর্মীয় উৎসবে কোভিড বিধি মানা না মানা প্রসঙ্গ নিয়ে বিতর্কে এবার নতুন মাত্রা যোগ করল বিজেপি নেতার মন্তব্য।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। টানা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল ৪০ হাজারের নিচে। রবিবার সকালে তা আরও কমে নেমে এসেছে ৩১ হাজারে। সেই সঙ্গে একলাফে অনেকটা কমেছে অ্যাকটিভ কেস। কমেছে দৈনিক মৃত্যুও। তবুও তৃতীয় ঢেউকে রুখতে সতর্ক কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসন।