নিয়ন্ত্রণে বাংলার করোনা পরিস্থিতি, দ্রুত উপনির্বাচনের আর্জি মমতার
ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে বাংলা। করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কয়েক মাস আগে যেখানে নিয়মিত গড়ে ১৬ থেকে ১৭ হাজার মানুষ সংক্রমিত হচ্ছিলেন, সেই সংখ্যা এখন নেমেছে ৬০০- তে। তা সত্ত্বেও এখনও উপনির্বাচন কবে হবে সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসেনি নির্বাচন কমিশন (Election Comission)। এই পরিস্থিতিতে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে দ্রুত উপনির্বাচন করানোর আরজি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
সোমবার এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। যে জায়গায় উপনির্বাচন হবে সেখানকার পরিস্থিতি ভাল। তাই এটাই নির্বাচনের উপযুক্ত সময়। এই সময় সকলে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।” তবে কবে হবে উপনির্বাচন? সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্যই দেয়নি নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে একাধিকবার দ্রুত উপনির্বাচন করানোর দাবি জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। কিন্তু এখনও তাঁদের তরফে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করেই উপনির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির করছে না।
একুশের নির্বাচনের আগে রাজ্যে থাবা বসিয়েছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। লাফিয়ে বাড়ছিল সংক্রমণ। করোনা প্রাণ কেড়েছিল একাধিক প্রার্থীরও। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী রেজাউল হক এবং জঙ্গিপুরের আরএসপি (RSP) প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর। ভোট চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার। নির্বাচনের পর মৃত্যু হয়েছে গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের।
এদিকে দিনহাটা থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হলেও দলের সিদ্ধান্তে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন বিজেপি (BJP) সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। একইভাবে জিতেও বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন শান্তিপুরের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। কিছুদিন আগেই ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, সেই আসনেও হবে উপনির্বাচন।