লাল-হলুদকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দিকেই তাকিয়ে প্রাক্তনরা
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী ইস্ট বেঙ্গলের লগ্নিকারী সংস্থাকে তোপ দাগায় আলোড়ন পড়ে যায় ময়দানে। বেশ কিছু সমর্থক ভিড় করেন তাঁবুতে। মুখ্যমন্ত্রী বুধবার সভা ডাকায় হাসি ফোটে লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে। তবে লাল-হলুদ কর্তারা ছিলেন দৃশ্যতই খুশি। এদিকে, ইস্ট বেঙ্গলের চুক্তিপত্র জট নিয়ে যে সব প্রাক্তন খেলোয়াড়রা মাথা ঘামিয়েছিলেন তাঁরা এখন বেশ খুশি। নীচে সাজিয়ে দেওয়া হল তাঁদের বক্তব্য।
সুভাষ ভৌমিক : সোমবার যে ভাষায় শ্রী সিমেন্ট চিঠি দিয়েছে তা অত্যন্ত অপেশাদার। দলবদল শেষ হতে মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। এখন বলছে ছেড়ে চলে যাবে। তবে এতদিন কেন চুক্তি নিয়ে আলোচনা করল? পরপর ড্রাফট পাঠাল? তবে এবার মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন। উনি নিজে বসছেন আলোচনায়। আমার মনে হয়, এবার বাঙ্গুররা তাদের অবাস্তব দাবি থেকে সরে আসবেন।
প্রশান্ত ব্যানার্জি : মুখ্যমন্ত্রী এবার সমাধানসূত্র খুঁজতে নিজে আসরে নেমেছেন। এর থেকে ভালো খবর আর হয় না। প্রাক্তনরা তো এটাই চেয়েছিলেন। মনে হচ্ছে, বুধবার পর্দা উঠবে। আমার মনে হয় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য সম্প্রচার হওয়ার পরেই কিছু নতুন ঘটনা ঘটেছে। শ্রী সিমেন্টের সোমবারের চিঠি তীব্র ফুটবল বিরোধী। দলবদল শেষ হওয়ার সাত দিন আগে স্পোর্টিং রাইটস ফিরিয়ে দিয়ে ক্লাব কর্তাদের চাপে ফেলে দিতে চেয়েছিল। এখন পাল্টা চাপে শ্রী সিমেন্টই।
শিশির ঘোষ : ২ আগস্ট খেলা হবে দিবস ঘোষণার দিন মুখ্যমন্ত্রীর কথাবার্তা শোনার পর মনে হয়েছিল, ইস্ট বেঙ্গল আইএসএলে খেলবেই। মাঝে দেখা গিয়েছিল জটিলতা। এবার পুরোদমে তিনি আসরে নেমেছেন। প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেও বুধবার মিটিং ডেকেছেন। সেদিনই সব আশঙ্কার মেঘ কেটে যাবে।