কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফেরানোর দাবি গুপকর মঞ্চের
রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে আনার দাবিতে অনড় উপত্যকা। ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়েও সুর চড়াচ্ছেন জম্মু-কাশ্মীরের নেতারা। অবিলম্বে ‘স্পেশাল স্টেটাস’ ফিরিয়ে আনার দাবি জানাল ছয় দলের যৌথ মঞ্চ অ্যালায়েন্স ফর গুপকর ডিক্লারেশন (পিএজিডি)। মাস খানেক আগেই পিএজিডি-র প্রতিনিধিদের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। উপত্যকার নির্বাচন ও রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে আনা নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। তবে আগে নির্বাচন, না আগে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে আনা—দোলাচল কাটেনি। এমন অবস্থায় সুর চড়াল পিএজিডি। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে নেওয়া হয়। তারপর থেকেই উপত্যকায় একের পর এক বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে। বহু ঘটনার সাক্ষী থেকেছে ভূস্বর্গ। মঙ্গলবার বিশেষ মর্যাদা ফেরানোর দাবি নিয়ে ফের পিএজিডি নেতৃত্ব ফারুখ আবদুল্লার বাসভবনে বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে মঞ্চের মুখপাত্র তথা সিপিএম নেতা তারিগামি বলেন, ‘বিশেষ মর্যাদা ফিরে পাওয়া উপত্যকার মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। আমরা বিশেষ মর্যাদা ফিরে পাওয়া ছাড়া অন্য কিছু চাইছি না।’
সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন, পিডিপি নেতা মেহবুবা মুফতি, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুখ আবদুল্লা। তারিগামির অভিযোগ, কিছু মানুষ তাঁদের দাবিকে দেশ বিরোধী তকমা দিতে চাইছে। জোর করে উপত্যকা থেকে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফের সেই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে পিএজিডি। উপত্যকার অবমাননা চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলে মন্তব্য করেছেন তারিগামি। তাঁর কথায়, লাগাতার অবমাননা চললে তা শুধু জম্মু-কাশ্মীরের জন্যই নয় দেশের পক্ষেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। উপত্যকার নীরবতাকে সম্মতি বলে মনে করছে সরকার। আদৌ বিষয়টি তা নয়। জোর করে তাঁদের দমিয়ে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ গুপকর অ্যালায়েন্সের।
এদিকে, নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে বারামুলা জেলার সোপোরে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে সোমবার রাত থেকে পীঠশির অঞ্চলে তল্লাশি চালায় নিরাপত্তাকর্মী। মঙ্গলবার সকালে শুরু হয় গুলির লড়াই। সেখানেই মৃত্যু হয় তিন জঙ্গির। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিস। কাশ্মীর জোনের আইজি বিজয় কুমার জানান, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত কাশ্মীর ডিভিশনে একশোর বেশি জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে।