কলকাতার বুকে পাওয়া গেল গুপ্তধনের সন্ধান
লকডাউনের এই কলকাতায় গুপ্তধনের সন্ধান পেলেন আশুতোষ কলেজের এক ছাত্র সৌম্যকান্তি দত্ত। এমনই ধারণা সাহিত্য প্রেমীদের। সৌম্যকান্তি হাতে এল লীলা মজুমদারের একগুচ্ছ অপ্রকাশিত রচনা।
জানা গেছে সন্দেশ পত্রিকার সদস্য সৌম্যকান্তি ও তাঁর বন্ধু সৌরদীপ বন্দোপাধ্যায় একটি তথ্যচিত্র বানানোর কাজে প্রায় দেড় বছর আগে লীলা মজুমদারের বাড়ি যান। সেখান থেকে তারা একগুচ্ছ রচনা, চিঠিপত্র, পান্ডুলিপি নিয়ে আসেন। তাঁরা তথ্যচিত্রের পাশাপাশি লীলা মজুমদারের অপ্রকাশিত রচনা প্রকাশের ইচ্ছাও প্রকাশ করেন, যাতে লীলা মজুমদারের ছেলে রঞ্জন মজুমদারও উৎসাহ জুগিয়েছেন।
সৌম্যকান্তির কাজের চাপে এতদিন খুলেই দেখা হয়নি এই সব কিছু। সম্প্রতি লকডাউনে ফাঁকা সময় পেয়ে রচনাগুলি নিয়ে নাড়া ঘাটা শুরু করেন। আর তাতেই হাতে আসে গুপ্তধন। এই কাগজপত্র গুলির মধ্যেই লুকিয়ে ছিল লীলা মজুমদারের করা শেক্সপিয়ারের কয়েকটি নাটকের বঙ্গানুবাদ।
তাছাড়াও রয়েছে ভারতীয় শিল্পকলা নিয়ে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাগেশ্বরী শিল্প প্রবন্ধাবলী’র ইংরেজি অনুবাদ, ইংরেজিতে লেখা মাদার টেরেসার একটি অপ্রকাশিত জীবনী। আছে লীলা মজুমদারকে লেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রেমেন্দ্র মিত্র, আশাপূর্ণা দেবী এবং নন্দলাল বসুর চিঠি।
আরো আছে লীলা মজুমদারের জলরঙে আঁকা ছবি এবং এমব্রয়ডারি ও রায় পরিবার এবং সত্যজিৎ রায়ের বেশ কিছু দুর্লভ ছবি । যার মূল্য সাহিত্য প্রেমীদের কাছে কোন অংশে হীরে-জহরতের থেকে কম না।