তৃতীয় টেস্টে লজ্জার হার, মুখ থুবড়ে পড়ল টিম ইন্ডিয়া
তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষেও ছবিটা ছিল অন্যরকম। লড়াই চালাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি-চেতেশ্বর পূজারা। ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। কিন্তু চতুর্থ দিনের প্রথম দেড় ঘণ্টাতেই একেবারে উলটপূরাণ। দু’উইকেটে ২১৫ রান থেকে খেলা শুরু করে ২৭৮ রানেই গুটিয়ে গেল ভারতীয় দলের দ্বিতীয় ইনিংস। প্রথম ইনিংসে অ্যান্ডরসন-ওভারটনের পর দ্বিতীয় ইনিংসে নায়ক বনে গেলেন ইংল্যান্ড পেসার ওলি রবিনসন। এই ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন তিনি।
এদিন খেলা শুরু হতেই ফিরে যান চেতেশ্বর পূজারা। তৃতীয় দিনের ব্যক্তিগত ৯১ রানের সঙ্গে এক রানও যোগ না করেই রবিনসনের বলে এলবিডব্লুউ আউট হন তিনি। অন্যদিকে, অধিনায়ক বিরাট কোহলি অর্ধ-শতরান পূর্ণ করলেও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। ৫৫ রান করে সেই রবিনসনের শিকার হন তিনিও। এরপর মাত্র ১০ রানে আজিঙ্ক রাহানেকে ফেরান জেমস অ্যান্ডারসন। পরবর্তীতে ঋষভ পন্থ (১), মহম্মদ শামি (৬), ইশান্ত শর্মা (২) দ্রুত আউট হয়ে যান। শেষদিকে রবীন্দ্র জাদেজা কিছুটা চেষ্টা করলেও অন্যান্যরা কেউ তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেননি। ২৫ বলে ৩০ রান করে আউট হয়ে যান জাদেজা। শেষ পর্যন্ত ২৭৮ রানেই গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস। আর ইংল্যান্ড ইনিংস এবং ৭৬ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল।ইংরেজ বোলারদের মধ্যে ৬৫ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট পেলেন রবিনসন। অন্যদিকে, ওভারটন পেলেন তিনটি উইকেট।
লর্ডসে রুটবাহিনীকে হারিয়ে নজির গড়েছিল কোহলি অ্যান্ড কোং। আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটতে থাকা সেই দলই তৃতীয় টেস্টে নেমেই মুখ থুবড়ে পড়ে। টসে জিতে কোহলির ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠে যায়। মাত্র ৭৮ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের প্রথম ইনিংস। এরপর গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতোই বেদনাদায়ক হয়ে উঠেছিল ইংল্যান্ডের দুরন্ত ব্যাটিং। টপ অর্ডারে বার্নস, হামিদ, মালানরা দুর্দান্ত খেলেন। আর অধিনায়ক রুট তো একেবারে ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যান। ১২১ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলে দলকে বড় রানে পৌঁছে দেন একাই। মিডল অর্ডারে অবশ্য ধস নামার শামি (৪), বুমরাহ (২), সিরাজ (২), জাদেজা (২)। এদিন শুরুতেই স্কোর বোর্ডে ৯ রান যোগ করেই অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
এমন একটা জায়গা থেকে ম্যাচ জেতা কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে দলকে অনেকটা পরিণত দেখাচ্ছিল। দ্বিতীয় টেস্টে জয়ী দলের পারফরম্যান্সের বিন্দুমাত্রও এবারের প্রথম ইনিংসে ছিল না। সেই জায়গা থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে অন্তত ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দল। কেএল রাহুল ব্যর্থ এরপর আরেক ওপেনার রোহিত শর্মার সঙ্গে জুটি বাঁধেন পুজারা। টেস্টে ব্যক্তিগত ১৪তম হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকান রোহিত। আর লিডস যেন নতুন করে আবিষ্কার করেছিল হারিয়ে যাওয়া পূজারাকে। পরবর্তীতে রোহিত আউট হলেও দিনের শেষে ৯১ রান করে ক্রিজে রয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গী ছিলেন অধিনায়ক কোহলি (Virat Kohli)। কিন্তু চতুর্থ দিনেই শেষ হয়ে গেল সব প্রতিরোধ। দেড় ঘণ্টার একটু বেশি সময়েই শেষ ভারতের ইনিংস।