বাড়ল বাংলা শস্য বিমায় নাম লেখানোর সময়সীমা
বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করার সময়সীমা বাড়ল। খরিফ মরশুমে ধান ও ভুট্টার বিমা করানোর জন্য আবেদন করার শেষদিন ছিল ৩১ আগস্ট। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সময়সীমা ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। ফলে আরও বেশি সংখ্যক কৃষক শস্য বিমার সুযোগ পাবেন।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শস্য বিমার জন্য ৩০ লক্ষের বেশি আবেদনপত্র ইতিমধ্যে জমা পড়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৮০ লক্ষ আবেদনপত্র কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। সময়সীমা বৃদ্ধির ফলে গতবারের খরিফ মরশুমের থেকেও বেশি কৃষক এবার শস্য বিমার আওতায় আসতে পারেন বলে মনে করছেন কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা।
গত মরশুমে শস্য বিমা প্রকল্পের আওতায় ছিলেন প্রায় ৬২ লক্ষ কৃষক। এই প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রায়ত্ত কৃষি বিমা সংস্থার নোডাল অফিসার সৌরভ গুপ্ত জানিয়েছেন, গত খরিফ মরশুমে ফসলের ক্ষতির জন্য বিমা খাতে রাজ্যের ৪ লক্ষ ৭৭ হাজার কৃষক টাকা পেয়ে গিয়েছেন। মোট ১০৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ খাতে দেওয়া হয়েছে। গত রবি ও বোরো মরশুমে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার কাজ তাড়াতাড়ি শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় যশের জন্য এবার রাজ্যের কয়েকটি জেলায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এখন উপগ্রহ থেকে নেওয়া ছবি ফসলের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ দ্রুত হয়েছে। বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পের দুটি ছাড়া সব ফসলে কৃষকদের বিমার প্রিমিয়াম হিসেবে কোনও টাকা দিতে হয় না। রবি মরশুমে শুধু আলু ও আখের প্রিমিয়ামের ৫ শতাংশের কম দিতে হয় কৃষকদের। এবার খরিফ মরশুমে ধান ও ভুট্টার উপর যে শস্যবিমা হচ্ছে তার প্রিমিয়ামের পুরোটাই রাজ্য সরকার দিচ্ছে।
গত খরিফ মরশুমে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের অধীন সব কৃষককে সরাসরি শস্যবিমার আওতায় আনা হয়। এবার শস্যবিমার সুযোগ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হচ্ছে। জমির মালিক-কৃষক ছাড়াও বর্গাদার ও ভাগচাষিরা বাংলা শস্য বিমা সুযোগ পান।