দুই মাসে প্রায় ১১ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে
দু’মাস পরও স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের আবেদনে পিছিয়ে রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সেই তুলনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রেসিডেন্সির মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান থেকে খুবই কম সংখ্যক পড়ুয়া এই কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন বলে খবর। তাহলে কি প্রচারের অভাবেই এই পরিস্থিতি, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে, দুই মাসে প্রায় ১১ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করেছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
এই প্রকল্পের উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই ভুরিভুরি আবেদন জমা পড়তে শুরু করে। পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তার মধ্যে একটা বড় অংশই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা বেশি হলেও তাঁরা যে এই ক্রেডিট কার্ডের প্রতি আকৃষ্ট নন, সেটা এক প্রকার প্রমাণিত। কারণ এতদিনে ১০০ জনও এই কার্ডের জন্য আবেদন করেননি। কলকাতার থেকে করুণ পরিস্থিতি প্রেসিডেন্সির। এখনও পর্যন্ত সেখানকার ৩০ জনের মতো পড়ুয়া আবেদন করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
বেশ কিছু নতুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই দুই প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের থেকে বেশি আবেদন করেছেন। যেমন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (প্রায় ১০০), সিধু কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে (প্রায় ১৪০) ভালোই আবেদন জমা পড়েছে। তবে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪৪০ জন ছাত্রছাত্রী এই কার্ডের আবেদন করেছেন। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে এটাই সর্বাধিক। রায়গঞ্জ (২৯০) এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (১৭৫) যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এছাড়াও রবীন্দ্রভারতী, গৌড়বঙ্গ, বিদ্যাসাগর, উত্তরবঙ্গ, প্রযুক্তি এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একশোর কিছু বেশি সংখ্যক পড়ুয়া স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের আবেদন জানিয়েছেন। শিক্ষাকর্তাদের বক্তব্য, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড নিয়ে সংবাদমাধ্যমে যথেষ্ট প্রচার হয়েছে। তারপরও কেন আবেদনের হার কম তা বোঝা যাচ্ছে না।
সব মিলিয়ে এই ক্রেডিট কার্ডের জন্য ৭৬ হাজারের মতো আবেদন জমা পড়লেও ৩০০ জনের ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে এবং ৪৫০ বেশি আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ব্যাঙ্কের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ২০ হাজারের বেশি আবেদন।