কারনালে কৃষকদের ওপর হিংসার ঘটনায় যুক্ত এসডিএমের তথ্য তলব করে আরটিআই তৃণমূল নেতার
হরিয়ানার কারনালের এসডিএম আয়ুষ সিংহর বিষয়ে জানতে চেয়ে আরটিআই করলেন তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে। শনিবার ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওয় আয়ুষকে প্রতিবাদরত কৃষকদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিতে দেখা যায়। সাকেত আয়ুষ সিংহর বিষয়ে চারটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছেন।
১। আয়ুষ সিংহর ‘প্রতিবাদীদের মাথা ফাটিয়ে দাও’, এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে কোন লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে কি না?
২। প্রতিবাদীদের ওপর লাঠিচার্জের ঘটনায় প্ররোচণা দেওয়ার জন্যে এসডিএমের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না? না নেওয়া হলে কেন হলনা?
৩। আয়ুষ সিংহকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে কি না? বা সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিস রুল, ১৯৬৪- এর আওতায় তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হচ্ছে কি না?
৪। এই বিষয়ক সমস্ত তথ্য প্রদান করা হোক।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে বিজেপি-শাসিত হরিয়ানার কারনালে বস্তারা টোল প্লাজার কাছে জাতীয় সড়কে জড়ো হয়েছিলেন কৃষকরা। আসন্ন পুরসভা নির্বাচন উপলক্ষে এই পথ দিয়েই একটি সভায় হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের যাওয়ার কথা ছিল বিকেলে। তাঁর এবং বিজেপির অন্যান্য নেতার কনভয় রুখে দেওয়ার লক্ষ্যে সকাল থেকেই চাষিরা কালো পতাকা নিয়ে রাস্তায় ভিড় জমান। কারনালের একটি হোটেলের বাইরে বিজেপির সভা চলছিল। চাষিরা সেখানেই পৌঁছতে চেয়েছিলেন। না পেরে কালো পতাকা নিয়ে টোল প্লাজা অবরোধ করেন তাঁরা। নেতাদের গাড়ি আটকাতে না পারলেও বিজেপি-বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁদের হটাতে পুলিশ লাঠি চালাতে শুরু করে।
এরই পাশাপাশি এক আইএএস অফিসারের ভিডিও ভাইরাল হয় সেইদিন। ভাইরাল ওই ভিডিওয় দেখা যায়, ঘটনাস্থলে ২০১৮ ব্যাচের আইএএস আয়ুষ সিংহ পুলিশকে নির্দেশ দিচ্ছেন, ‘প্রত্যেক প্রতিবাদীকে ধরে পেটাও! উঠা উঠাকে মারো পিছে সবকো।’ আয়ুষ বর্তমানে কারনালের এসডিএম। তাঁকে এও বলতে শোনা যায়, ‘একটা লোকও যেন আমার কাছে পৌঁছতে না পারে। যদি বা পৌঁছয়, তার মাথা যেন ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ক্লিয়ার হ্যায় আপকো?’
এই ভিডিওর প্রেক্ষিতেই এদিন আরটিআই করেন সাকেত।