শীর্ষেন্দু থেকে প্রসেনজিৎ, বুদ্ধদেব গুহর স্বরণে বাঙালি বিশিষ্টরা
‘মাধুকরী’র পৃথু ঘোষ চেয়েছিল, বড় বাঘের মতো বাঁচতে। আর পৃথু ঘোষের স্রষ্টা চেয়েছিলেন সহজ ভাষার জাদুতে মানুষের হৃদয়ে প্রবেশ করতে। আবার ‘ঋজুদার সঙ্গে জঙ্গলে’র অভিযানেও পাঠকদের সঙ্গে নিয়ে যেতেন। বুদ্ধদেব গুহ মানে অনেক স্মৃতি। যে স্মৃতি বইয়ের পাতা থেকে মনের ভিতরে কখন যে জায়গা করে নেয়, তার টেরই পাওয়া যায় না। জীবনের ‘আয়নার সামনে’ ৮৫ বসন্ত কাটিয়ে চিরঘুমে সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ (Buddhadeb Guha)। তাঁর প্রয়াণে শোকবিহ্বল সাহিত্য ও বিনোদন জগৎ।
প্রখ্যাত সাহিত্যিকের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তিনি লেখেন, “বুদ্ধদেব গুহর প্রয়াণে সাহিত্য জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি বুদ্ধদেব গুহর আত্মীয় পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”
কিছুদিন আগেই স্ত্রীকে হারিয়েছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (Shirshendu Mukhopadhyay)। এবার হারালেন প্রিয় বন্ধুকে। লালা বলে ডাকতেন বুদ্ধদেব গুহকে। তাঁর এভাবে চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। “পৌষমাসে আমার বাড়িতে পিঠে খেতে আসত”, বলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক।
করোনাকালের (Coronavirus) আগেও বুদ্ধদেব গুহর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বাণী বসুর (Bani Basu)। তাঁর মতো বর্ণময়, মজলিসি মানুষ আর দেখেননি। তিনি জানান, কোভিডের (COVID-19) কোপে পড়ে অনেক ভুগতে হয়েছিল সাহিত্যিককে। শেষের দিনগুলোতে কোনও কিছুই করতে পারতেন না। এনিয়ে আক্ষেপ ছিল তাঁর মনে।
কিছুদিন আগেও বুদ্ধদেব গুহর সঙ্গে কথা বলেছিলেন শংকর (Sankar)। ৮৫ বছরের সাহিত্যিকের প্রয়াণের খবর যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না। বুদ্ধদেববাবুর চলে যাওয়া বাংলার সাহিত্য জগতের অপূরণীয় ক্ষতি বলে মনে করেন তিনি।
ঋজুদাকে নিয়ে কোয়েলের কাছে চলে গেলেন আপনি … ভালো থাকবেন বুদ্ধদেব গুহ …”, টুইটারে লেখেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee)। আবির চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee) লেখেন, “সুখ নেইকো মনে নাকছাবিটি হারিয়ে গেছে হলুদ বনে বনে। ভাল থাকবেন। প্রণাম নেবেন।” “আবার নক্ষত্র পতন… সাহিত্যে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।” লেখেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)।