দুয়ারে সরকারে ২৪ ঘন্টায় রেকর্ড সাড়ে ৬ লক্ষ মিউটেশন
রবিবার, মাত্র ২৪ ঘণ্টায় জমি-বাড়ির মিউটেশন সংক্রান্ত রেকর্ড সংখ্যক আবেদনের নিষ্পত্তি হল রাজ্যে। ওইদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ক্যাম্পগুলিতে এই সংক্রান্ত প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ আবেদনের নিষ্পত্তি হয়েছে। একদিনে জনপরিষেবা সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনে মিউটেশন কেসের এহেন নিষ্পত্তি রেকর্ড তৈরি করল বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ মহলে সন্তোষ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এরই মধ্যে দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়ে উন্মাদনা যত বাড়ছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সবার কাছে এই সুবিধা পৌঁছে দিতে ততটাই তৎপর হয়েছেন সরকারি আধিকারিকরা। বন্যাপ্লাবিত মুর্শিদাবাদ ও মালদহের বেশ কিছু এলাকার পর উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের দুর্গম বক্সা পাহাড়েও দুয়ারে সরকার প্রকল্পের পরিষেবা নিয়ে শনিবার পৌঁছেছিলেন আধিকারিকরা।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম-শহরের জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটের মিউটেশন সংক্রান্ত সমস্যা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে বিপুল আগ্রহে আসতে শুরু করেছেন নাগরিকরা। গত শনিবার (২৮ আগস্ট) পর্যন্ত ক্যাম্পগুলিতে মিউটেশন সংক্রান্ত মোট ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৫৭৫টি আবেদনের নিষ্পত্তি হয়েছিল। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রবিবার দিনের শেষে মিউটেশন সংক্রান্ত মোট ৯ লক্ষ ২০ হাজার ৩২৩টি আবেদনের নিষ্পত্তি সম্ভব হয়েছে। শতকরা হিসেবে তা ৩৩৫ শতাংশ বেশি। নবান্নের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, রবিবার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে নানা পরিষেবার সুযোগ নিতে যত সংখ্যক মানুষ এসেছিলেন, তার মধ্যে ৫৭.৭ শতাংশ আবেদন করেছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা নিতে। ওই দিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন পৌঁছেছিল ১ কোটি ১২ লক্ষে। এরপরেই ছিল স্বাস্থ্যসাথী ৩২.৫৭ লক্ষ (১৬.৬৮ শতাংশ), জাতিগত শংসাপত্রে ১১.৩৪ লক্ষ (৫.৮১ শতাংশ) এবং খাদ্যসাথী ১০.৯০ লক্ষ (৫.৫৯ শতাংশ)।
নবান্নের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের বক্সা পাহাড়ে শনিবার দুয়ারে সরকার ক্যাম্প পরিচালনা করেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক এস কে মিনা। উপস্থিত ছিলেন কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মনও।