কাশ্মীরের হুরিয়ত নেতা গিলানি প্রয়াত

গত বছরই হুরিয়ত কনফারেন্স (জি)-র চেয়ারম্যান পদে ইস্তফার ঘোষণা করেছিলেন গিলানি।

September 2, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

প্রয়াত কাশ্মীরের নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। এদিন রাত সাড়ে দশটা নাগাদ শ্রীনগরে নিজের বাসভবনে মৃত্যু হল গিলানির। তিনি ছিলেন হুরিয়ত কনফারেন্সের অন্যতম শীর্ষনেতা। বিগত কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন গিলানি।

প্রথতে তিনি ছিলেন জামাত-ই-ইসলাম কাশ্মীরের নেতা। পরে তিনি তেহরিক-ই-হুরিয়ত গঠন করেন।জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলির সংগঠন অল পার্টি হুরিয়ত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার পালনও করেছেন তিনি।

গিলানির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি ট্যুইটে শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন, ‘গিলানির প্রয়ানে শোকাহত। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁর সঙ্গে সহমত না হলেও নিজের বিশ্বাসের প্রতি অবিচল ও একনিষ্ঠতার জন্য তাঁকে শ্রদ্ধা করি’। গিলানির পরিবার ও অনুগামীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মেহবুবা।

প্রথমসারির এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ও হুরিয়ত কনফারেন্সেরর প্রাক্তন চেয়ারম্যান গিলানির মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯২। বুধবার বিকেল থেকেই তাঁর অসুস্থতা বৃদ্ধি পায় এবং রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জানা গেছে, তাঁর বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। দীর্ঘদিন ঘরেই অসুস্থ ছিলেন গিলানি। ২০০৮ থেকে হায়দরপুরায় তাঁর বাসভবনে গৃহবন্দি ছিলেন তিনি। বুধবার রাত সাড়ে দশটায় মারা যান তিনি।

গত বছরই হুরিয়ত কনফারেন্স (জি)-র চেয়ারম্যান পদে ইস্তফার ঘোষণা করেছিলেন গিলানি। ১৯২৯-এর ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্ম। তিনি ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা। ১৯৭২, ১৯৭৭ ও ১৯৮৭ সালে তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের সোপোর আসন থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

২০১৮-তে মৃদু হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল গিলানির। ওই সময় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল। গিলানির মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে কাশ্মীরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন। কাশ্মীর উপত্যকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ সহ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। হায়দরপুরায় গিলানির বাড়ির বাইরেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, হুরিয়তের কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে আটক করা হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen