খবরে লাগছে সাম্প্রদায়িকতার ছোঁয়া, উদ্বেগ প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের
সংবাদমাধ্যমের একাংশ যেভাবে সংবাদ পরিবেশন করছে তাতে সাম্প্রদায়িকতার ছোঁয়া রয়েছে। গত বছরের মার্চে দেশে করোনার (Coronavirus) দাপট শুরু হওয়ার সময় তবলিগি জামাত (Tablighi Jamaat) সংগঠনের জমায়েতকে দায়ী করা নিয়ে একটি পিটিশন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতে। বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানিতেই এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
এদিন দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা বলেন, ”সমস্যাটা হল, এদেশের সব কিছুকেই সাম্প্রদায়িকতার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে চায় সংবাদমাধ্যমের একাংশ। এটাই সমস্যা। এর ফলে দেশের নামই খারাপ হবে।” গত বছরের মার্চে রাজধানীর মার্কাজ নিজামুদ্দিনে তবলিগি জামাতের জমায়েত হয়েছিল।সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়া পিটিশনে দাবি করা হয়েছে কোভিডকে সাম্প্রদায়িক রং দিচ্ছে বহু সংবাদমাধ্যম।
এদিনের শুনানিতে ওয়েব পোর্টালগুলিকেও ভর্ৎসনা করেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর কথায়, ”ওয়েব পোর্টালগুলি কেবল প্রভাবশালী কণ্ঠস্বরের কথাই শোনে। দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো প্রতিষ্ঠান ও বিচারপতিদের বিরুদ্ধে যা খুশি লেখে। ওরা কেবলই প্রভাবশালীদের বিষয়ে উদ্বেগ দেখায়। বিচারপতি, প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষদের নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই। আমাদের অভিজ্ঞতা তাই বলে।”
প্রসঙ্গত, মার্চের প্রথম থেকে মধ্যভাগ পর্যন্ত দিল্লির মার্কাজ মসজিদে এক বিরাট ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজন করে তবলিগি জামাত সংগঠন। ওই সমাবেশে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষজন ভিড় জমান। সেই সঙ্গে বিদেশ থেকেও অনেকে যোগ দিয়েছিলেন। জানা গিয়েছিল, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার মতো বহু দেশ থেকে অনেকে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে শুরু করে। শুরু হয় দেশব্যাপী লকডাউন। প্রশ্ন ওঠে, দিল্লির নিজামুদ্দিনের মার্কাজ মসজিদই কি তবে করোনা সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সমস্ত রাজ্যকে সতর্ক করে বলা হয়, যদি এমন কোনও বিদেশির খোঁজ মেলে যিনি তবলিগ-ই-জামাতের সদস্য, তবে তৎক্ষণাৎ তাঁকে বা তাঁদের পুরোপুরি শারীরিক পরীক্ষা করে দেখতে হবে দেহে করোনা বাসা বেঁধেছে কিনা।