চাপে বিপ্লব দেব, এবার ত্রিপুরায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের পাশে তৃণমূল

ত্রিপুরার বিজেপি সরকার ২০১৮ সালে ১০,৩২৩ চাকরি আটকে থাকা শিক্ষকদের জন্য একটি ‘স্থায়ী সমাধান’ আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল

September 3, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকারকে চাপে ফেলতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের পাশে থাকতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ ত্রিপুরায় গিয়েই আন্দোলনরত এই শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের সুস্মিতা দেব৷

ত্রিপুরার বিজেপি সরকার ২০১৮ সালে ১০,৩২৩ চাকরি আটকে থাকা শিক্ষকদের জন্য একটি ‘স্থায়ী সমাধান’ আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু মাত্র দু’বছর পরে, করোনা অতিমারি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, ২০২০ সালের মার্চ মাসে – সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সেগুলি বাতিল করা হয়েছিল।

১০,০০০ শিক্ষকের মধ্যে একজন ছিলেন আগরতলার উজান অভয়নগরের ৬ নং ওয়ার্ডের শিউলি চক্রবর্তী – যিনি ২০১০ সালের মে মাসে চাকরি পেয়েছিলেন এবং ২০২০ সালের মার্চ মাসে তা হারিয়েছিলেন। শিউলি চক্রবর্তী নামে ওই শিক্ষিকার একটি কিশোরী মেয়েও রয়েছে৷ তিনজনের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন তিনি৷ চাকরি হারানোর অবসাদ থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই শিক্ষিকা৷ পরবর্তীকালে ত্রিপুরার গোবিন্দ বল্লভ পান্ত হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে মারা যান তিনি।

শিউলি চক্রবর্তীর ভাইঝি দীপান্বিতা চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা চাকরির জন্য সরকারের কাছে গিয়েছিলাম – কিন্তু কোনও সাহায্য পাইনি। তারা আমার কাকিমাকে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য রাজ্যে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু কিছুই করেনি’।

২০২০ সালের এপ্রিল মাসে, ত্রিপুরা সরকার চাকরি হারানো ৮,৮৮২ জন শিক্ষককে মাসিক ৩৫,০০০ টাকা ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করেছিল। কিন্তু, শিউলির শ্যালক দিলীপ চক্রবর্তীর মতে, ‘সরকার শুধুমাত্র এক মাসের জন্য ৩৫,০০০ টাকা ভাতা দিয়েছিল’। শিউলি চাকরি হারানোর পর থেকে দিলীপ চক্রবর্তী তাঁর পরিবারের দেখাশোনা করছেন।

তৃণমূলের দাবি, সর্বশিক্ষা মিশনের অধীনে আরও ৫,৪৩৭ জন শিক্ষকের চাকরি ঝুলে আছে। ত্রিপুরায় গত ১৫ বছরে নিয়োগপ্রাপ্ত এই শিক্ষকরা আমলাতান্ত্রিক সমস্যা এবং সরকারের ত্রুটিপূর্ণ নীতির কারণে বেকারত্বের মুখোমুখি হচ্ছেন। তাঁরা এই বিষয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন, যেখানে বিচারপতিরা সরকারকে তাঁদের পরিষেবা নিয়মিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং সরকারি বেতন স্কেলের ভিত্তিতে তাঁদের নিয়মিত বেতন দিতে বলেছিলেন। যাই হোক, রাজ্য সরকার তাদের নিয়মিত করতে অনিচ্ছুক কারণ তারা শিক্ষকদের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা পাস করেনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen