স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করতে রোগীর দুয়ারে পৌঁছে গেল ব্লক প্রশাসন
কর্কট রোগে আক্রান্ত। বাড়িতেই চলছে স্যালাইন থেকে অক্সিজেন। বাইরে চিকিৎসা করানোর মতো ক্ষমতা নেই। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকায় বাইরে চিকিৎসা করাতে যেতে পারছেন না। অসুবিধার কথা জানার পরে শনিবার রঘুনাথপুর ২ নম্বর ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে দিলেন। তুলে দিলেন কার্ড। কার্ড তৈরির পরেই রোগীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যরা কলকাতা চলে যায়। রঘুনাথপুর ২ ব্লক প্রশাসনের এমন মানবিক রূপ দেখে এলাকার মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন। ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জানা গিয়েছে, রঘুনাথপুর ২ ব্লকের জোরাডি পঞ্চায়েতের বগড়া গ্রামের বছর ৫০-র মুকুট চৌধুরী কর্কট রোগে আক্রান্ত হন। দিনমজুর করে খেটে খাওয়া পরিবারের পক্ষে বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছিল না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকায় পরিবারটি অসুবিধায় পড়ে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বানানোর জন্য পাড়া বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক উমাপদ বাউরিকে জানান। বিষয়টি জানার পরে উমাপদবাবু ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান।
এদিন সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই আধিকারিক সাধনকুমার বিশ্বাস এবং দেবাশিস ঘোষ বাড়িতে গিয়ে মুমূর্ষু রোগীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে দেন। কার্ডটি মুকুটবাবুর স্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
মুকুটবাবুর পরিবার বলেন, দিনমজুর করে সংসার চলে। বাড়ির একমাত্র রোজগারের ব্যক্তি অসুস্থ। তাই বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছিল না। ধন্যবাদ জানায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্প এনেছেন বলে অনেক গরিব পরিবার চিকিৎসা করাতে পারছেন। উমাপদবাবু বলেন, মানবিক দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার এক একটি প্রকল্প মানুষের জীবনকে বদলে দিয়েছে। ওই পরিবারের অসুবিধার কথা জানার পরেই ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়।
রঘুনাথপুর ২ ব্লকের বিডিও অনামিত্র সোম বলেন, পরিবারের অসুবিধার কথা জানার পরেই দপ্তর থেকে আধিকারিকদের পাঠানো হয়। সম্প্রতি রঘুনাথপুর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পক্ষাঘাতে কাবু বৃদ্ধা পারুল সরকারের বাড়িতে গিয়ে রঘুনাথপুর মহকুমা শাসক প্রিয়দর্শিনী ভট্টাচার্য নিজে বসে থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়ে দিয়েছিলেন। সেই ঘটনার পর এদিনের রঘুনাথপুর ২ নম্বর ব্লকের ঘটনা একটা আলাদা নজির গড়ে।