করোনার মাঝে চোখ রাঙাচ্ছে নিপা ভাইরাস, কেরলে মৃত্যু কিশোরের
করোনার (Coronavirus) মাঝে নয়া আতঙ্ক। ফের কেরলে চোখ রাঙাচ্ছে নিপা ভাইরাস। তাতে প্রাণহানিও হল এক কিশোরের। নিহত বছর বারোর কিশোরের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে কোঝিকোড়ের বাসিন্দা ওই কিশোরের শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। তার নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় পুণেতে। সেখান থেকেই জানানো হয় নিপা ভাইরাসে (Nipah Virus) আক্রান্ত হয়েছে কিশোর। এ বিষয়ে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, তাকে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এরপর একটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও স্থানান্তরিত করা হয়। তবে সেখানেও চিকিৎসায় কিশোরের শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। সে কারণে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে শত চেষ্টাতেও সুফল মেলেনি। পরিবর্তে রবিবার সকালে প্রাণহানি হয় বছর বারোর কিশোরের।
করোনা পরিস্থিতি কেরলে যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতিতে নিপা ভাইরাসের প্রকোপে আতঙ্ক যে বেশ জাঁকিয়ে বসেছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কোঝিকোড়ে (Kerala’s Kozhikode) জেলায় পরিদর্শনে যান খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা হয়েছে। একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। যারা নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত ওই কিশোরের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের আলাদাভাবে নজরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁদের কারও শরীরে নিপা ভাইরাস সংক্রমণের কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি বলেই খবর। রবিবার সকালে কেন্দ্র থেকেও একটি দল কোঝিকোড়েতে পৌঁছেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত বাদুড়ের মাধ্যমে নিপা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। জ্বর, কাশি, মাথা যন্ত্রণা, গলা ব্যথা, বমি, শ্বাস নিতে সমস্যার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে আক্রান্তদের। সঠিক সময়ে রোগ ধরা না পড়লে প্রাণহানিও হতে পারে। গত ২০১৮ সালে প্রথম কোঝিকোড়েতে নিপা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর মেলে। সে বছর ১৭ জনের প্রাণহানি হয়। তার পরের বছরেও কেরলে নিপা ভাইরাসের দাপট লক্ষ্য করা যায়