কৌশিকী অমাবস্যায় বাড়ি বসেই তারাপীঠের পুজো দর্শন ভক্তদের
তারাপীঠে চলছে কৌশিকী অমাবস্যার (Kaushiki Amabasya) পুজো। রাজবেশে সেজে উঠেছে মা তারার দেবী প্রতিমা। সাড়ম্বরে চলছে পুজো। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে এবার পুণ্যার্থীদের মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ। বদলে ভিডিও কলের মাধ্যমে দেবীদর্শন সারছেন পুণ্যার্থীরা। মন্দির চত্বরে বসেছে জায়ান্ট স্ক্রিনও।
গত কয়েক দিন ধরে বৈঠক, প্রচার, নাকা চেকিং করেও কৌশিকী অমাবস্যার দিনে তারাপীঠে ভক্তদের ভিড় আটকানো যায়নি। বিশেষ করে পাশের রাজ্য অর্থাৎ ঝাড়খন্ড ও বিহারের পুণ্যার্থীদের আটকাতে পারল না জেলা প্রশাসন। তবে মন্দিরের দরজা পর্যন্ত এলেও তারা মন্দিরে ঢুকে পুজো দিতে পারলেন না। মায়ের কাছে এসে মায়ের জন্মদিনে মাকে নিজের হাতে পুজো দিতে না পেরে অভিমান হল অনেকের। তারাপীঠ বন্ধ থাকলেও জেলার পঞ্চ-সতীপীঠে এদিন পুজো দেন ভক্তরা। ভিড় জমেছিল মল্লারপুর লাগোয়া ঝাড়খন্ডের তারা মায়ের বোন মৌলাক্ষ্যা মায়ের মন্দিরে।
মন্দির বন্ধ থাকলেও সোমবার সকালে বিধি মেনে মা তারার মঙ্গলারতি হয়। পরে শীতল ভোগও দেওয়া হয়। তিথি নক্ষত্র মেনেই সোমবার সকাল ৭ টা ৭ মিনিটেই শুরু হয় অমাবস্যার পুজো। মন্দির কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে মন্দিরে সাধারণ ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছি। তবে ভক্তরা যাতে বাড়িতে বসেই মায়ের পুজো সরাসরি দেখতে পান তার জন্য সংবাদ মাধ্যমকে ছাড় দিয়েছি। জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয়েছে মন্দিরের আশপাশ এবং নাটমন্দিরে। ভিডিওকলের মাধ্যমে ভক্তদের দেখানো হচ্ছে। ভক্তরা বাইরে থেকে এই বিশেষ জায়ান্ট স্ক্রিনে মায়ের পুজোর দেখতে পারে সে জন্য এই ব্যবস্থা।
কৌশিকী অমাবস্যা তারাপীঠে একটি বিশেষ দিন। কোষ থেকে জন্মেছিলেন মা তারা। বছরের এই দিনটিতে তারাপীঠ শ্মশানে হোমযজ্ঞ করতে এবং তারা মায়ের কাছে পুজো দিতে ভক্তদের ঢল নামে। রাজ্য তো বটেই পাশের রাজ্য থেকেও ভক্তরা আসে এদিন। লক্ষ-লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। কিন্তু গত বছরের মতোই এবারও কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মন্দির, তারাপীঠের লজ এমনকী রাস্তা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় মন্দির কমিটি ও প্রশাসন। বিশেষ দিনে মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।
মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে কৌশিকী অমাবস্যা। সে কথা মাথায় রেখে ৩ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশের রাজ্যের ভক্তদের কাছে সে বার্তা পৌঁছে দিতে দুই সীমানার পুলিশের থানা পর্যায়ে বৈঠক হয়। রবিবার সকাল থেকে তারাপীঠের সব পথে নাকা চেকিং বসানো হয়। ফলে রামপুরহাটের লজে এদিন থেকেই ভক্তদের ভিড় বাড়তে থাকে।ভক্তরা জানান, তাদের রাজ্যে মন্দির বন্ধের কোনও প্রচার হয়নি। এমনকি রামপুরহাট আসতেও কোথাও কোনও বাধা পাননি।