গাইঘাটার বিজেপি নেতার বাড়িতে মধুচক্রের আসর, গ্রেপ্তার যুবতী সহ ৩
বিজেপির মণ্ডল সভাপতির থেকে ভাড়া নেওয়া বাড়িতে মধুচক্রের আসর! শুধু মৌখিক অভিযোগ ওঠাই নয়, বিজেপির ওই মণ্ডল সভাপতির বাড়ি থেকে এক যুবতি সহ ৩ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই বাড়ির মালিক উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটার বিজেপির চাঁদপাড়া মণ্ডল সভাপতি।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সমাপ্তি রায়, শুভময় মণ্ডল এবং দেবাশিস টিকাদার। ২৪ বছর বয়সী সমাপ্তি রায় শিমুলপুরের বাসিন্দা। ৩৪ বছর বয়সী শুভময় মণ্ডল হালিশহর এবং ৪৮ বছরের দেবাশিস টিকাদার দেবীপুরের বাসিন্দা। রামপুর এলাকায় বিশ্বজিৎ ঘোষের ভাড়াবাড়িতে থেকে এরা মধুচক্র চালাত বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির মালিক বিজেপির চাঁদপাড়া মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষ। তিনি বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন। সেই ভাড়া বাড়িতেই প্রতিবেশীদের নজর এড়িয়ে মধুচক্র চলত বলে অভিযোগ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গাইঘাটা থানার পুলিশ রবিবার রাতে ওই ভাড়া বাড়িতে হানা দেয়। তখনই দু’জন ব্যক্তি ও এক যুবতিকে অপ্রীতিকর অবস্থায় পাকড়াও করে পুলিশ। তদন্তে নেমে গাইঘাটা থানার পুলিশ জানতে পারে, দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষের ভাড়া দেওয়া ওই বাড়িটিতে মধুচক্রের আসর চলত। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার তিনজনকে গ্রেফতার করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ।
এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন বিশ্বজিৎ ঘোষ। তাঁর বাড়িতে মধুচক্রের আসরের ঘটনা তৃণমূলের চক্রান্ত দাবি জানিয়ে বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ‘যারা ধরা পড়েছে তাঁদের কাউকে চিনি না। আমাকে পদচ্যুত করার জন্যই এই কাজ করছে।’ এই ঘটনার পিছনে স্থানীয় বিধায়ক স্বপন মজুমদার প্রতিহিংসা রয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ।
একইভাবে ঘটনাটি সাজানো বলে দাবি জানিয়েছেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ। দল বিশ্বজিৎ ঘোষের পাশে রয়েছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সমস্ত কিছু তৃণমূলের অপপ্রচার। দলের সভাপতিকে বদনাম করার জন্যই এই সব করেছে। এটা বানানো ঘটনা হতে পারে। আগে প্রমাণ হোক।’
অন্যদিকে, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি আলোরানি সরকারের অভিযোগ, ‘গাইঘাটায় দীর্ঘদিন ধরে মধুচক্র চালাচ্ছে। আজ প্রমাণ হয়েছে। বিজেপির বেশিরভাগ পদাধিকারী সোনা পাচার, হেরোইন পাচারে যুক্ত আছে। তাই যে সাধারণ কর্মীরা আগে বিজেপি করত, তাঁরা আজ তৃণমূলের ছাতার তলায় চলে আসছে।