বড় ধাক্কা শুভেন্দুর, পরপর দুবার কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন খারিজ
কলকাতা হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন বিজেপি নেতার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। পরপর দুবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবেদন করার পরেও শুভেন্দু অধিকারীর আবেদনে কর্ণপাত করলো না কলকাতা হাইকোর্ট।
কাঁথি সমবায় ব্যাংক (Contai Cooperative Bank) এ নিজের প্রভাব কাজে লাগিয়ে বছরের-পর-বছর চেয়ারম্যান পদ ধরে রাখার পাশাপাশি কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। এরপরে কাঁথি সমবায় ব্যাংকের সমস্ত ডিরেকটর একজোট হয়ে শুভেন্দু অধিকারী কে চেয়ারম্যান পদ থেকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্তে সীলমোহর দেন। কলকাতা হাইকোর্টে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শুভেন্দু অধিকারী মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু সুখেন্দু আবেদনে কর্ণপাত না করে সমবায় ব্যাংকের ডিরেক্টরদের সিদ্ধান্তে আস্থা রাখল কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, সেচ দপ্তরে দুর্নীতি ও ত্রিপল চুরির অভিযোগের পর এবার কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক পরিচালনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। স্বাভাবিক কারনেই এর জেরে সামনের দিন গুলিতে আরো সমস্যা জড়াতে চলেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তৃনমূলের পক্ষ থেকে ব্যাঙ্ক পরিচালনায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ডেপুটেশান দেওয়া হল ।
দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সর্ববৃহৎ আরবার কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের মর্যাদা পায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথির কন্টাই কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক।
একটানা ১০ বছরের বেশী সময় ধরে এই সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান আছেন শুভেন্দু অধিকারী। ডেপুটেশানকারীদের অভিযোগ গত ২০০৯ সালে ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই এই আর্থিক প্রতিষ্ঠান দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবিতে ব্যাঙ্কের সম্পাদক পার্থ প্রতিম পতির কাছে ডেপুটেশান দেয় তৃনমূলের সমবায় সেলের নেতৃত্বরা। এই কর্মসূচীতে ছিলেন রত্নদীপ মান্না, হাবিবুর রহমান, আইনজীবী মঞ্জুর রহমান খান, আইনজীবী ডেভিট ফ্রাংকসিস,যুব নেতা সুরজিৎ নায়ক, রিনা দাস, হরিসাধন দাস অধিকারী প্রমুখ।
ডেপুটেশানকারী রত্নদীপ মান্না,মঞ্জুর রহমান খান,সুরজিৎ নায়কেরা বলেন সাধারন মানুষের প্রতিষ্ঠান এই ব্যাঙ্ক। অথচ সেই ব্যাঙ্কের উপার্জিত লাভ্যাংশের টাকা বে আইনী ভাবে খরচ করে সামাজিক ক্ষেত্রে নিজের ইমেজ বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তাঁদের আরো অভিযোগ ব্যাঙ্ক পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান থাকার সুবাদে শুভেন্দু বাবু আর্থিক দুর্নীতির পাশাপাশি কর্মীদের নিয়োগ-বদলী ও পদোন্নতিতে স্বজনপোষন করা হয়েছে।