অসমকে আরও ছ’মাসের জন্য ‘উপদ্রুত’ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করল কেন্দ্র
প্রায় সাড়ে পাঁচ বছরের বিজেপি শাসনেও শান্তি ফেরেনি অসমে। এখনও রাজ্যে শান্তিশৃঙ্খলার বিষয়ে নিশ্চিত নয় প্রশাসন। তাই আরও ৬ মাস বহাল থাকবে আর্মড ফোর্সেস (স্পেশ্যাল পাওয়ার) অ্যাক্ট ওরফে আফস্পা (AFSPA)। শনিবার এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র। উত্তরপূর্ব ভারতের গোটা রাজ্যটাকেই আরও ছ’মাসের জন্য ‘উপদ্রুত’ এলাকা বলে দেগে দেওয়া হল।
শনিবার এক বিবৃতি জারি করে অসম সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আর্মড ফোর্সেস (স্পেশ্যাল পাওয়ার) অ্যাক্টের ৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী অসম সরকার গোটা অসম রাজ্যটিকেই উপদ্রুত এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করছে। আগে প্রত্যাহার না করা হলে ২৮ আগস্ট থেকে আগামী ৬ মাসের জন্য অসম (Assam) উপদ্রুত এলাকা হিসেবেই পরিগণিত হবে। যদিও ঠিক কী কারণে অসমে আফস্পা জারি রাখা হচ্ছে, সেটা ওই বিবৃতিতে স্পষ্ট করা নেই।
বস্তুত, সেই নয়ের দশক থেকেই অসম-সহ উত্তরপূর্ব ভারতের প্রায় সবকটি রাজ্য উপদ্রুত এলাকা হিসাবে পরিচিত। অসমে ১৯৯০ সালে প্রথমবার আফস্পা চালু হয়। প্রতি ছ’মাস অন্তর অন্তর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে নতুন করে আফস্পা জারি করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একইভাবে বিবৃতি জারি করে অসমকে ‘উপদ্রুত এলাকা’ (Disturbed Area) বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। আরও ছ’মাসের জন্য বিজেপি শাসিত রাজ্যটিতে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা বজায় থাকবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার আগে অসমে শান্তি ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। তারপর অসমের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মূল স্রোতে ফেরানোর চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জঙ্গি সংগঠনের নেতাদের বড় অঙ্কের অর্থের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে আলাদা রাজ্যের দাবি ওঠা এলাকাগুলিতে পৃথক স্বশাসিত সংস্থা তৈরি করে স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলিকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সাফল্যও এসেছে। কিন্তু এখনও অসম থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। সম্ভবত সেকারণেই অসমকে আরও ছ’মাসের জন্য উপদ্রুত এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হল।