আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ক্লাসে ফেরানো হয়নি বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের, বিশ্বভারতী সরগরম
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে পড়ুয়াদের বিরোধ মেটার আপাতত কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন পড়ুয়ারা। অভিযোগ, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ক্লাসে ফেরানোর বিজ্ঞপ্তি দিলেও সোমবার তাতে যোগ দিতে পারেননি তাঁরা। সোমবার সারাদিন ক্লাসের কোনও লিঙ্ক পাঠানো হয়নি বলে অভিযোগ ওই পড়ুয়াদের।
বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর সোমনাথ সৌ, ফাল্গুনী পান এবং রূপা চক্রবর্তী নামে বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা তাঁদের ক্লাসে ফেরানোর জন্যও নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ওই তিন পড়ুয়াকে ক্লাসে ফেরানোর জন্য শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তবে পড়ুয়াদের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ক্লাসে ফেরানো হয়নি তাঁদের। পাশাপাশি সোমনাথের দাবি, “বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে একটি ইমেল মারফত নিজের পরীক্ষা ও ভর্তির বিষয়ে কিছু দাবিদাওয়া জানিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলির উত্তরও দেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।”
ইমেলে কী দাবি করেছেন সোমনাথ? তিনি বলেন, “আগামি সাত দিনের মধ্যে আমার বকেয়া পরীক্ষা নিয়ে ১০ দিনের মধ্যে তার রেজাল্ট প্রকাশ করতে হবে বলে বিশ্বভারতীর কাছে দাবি করেছিলাম। এবং সেই রেজাল্টের ভিত্তিতে চলতি বছরেই স্নাতকোত্তরে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে।” সোমনাথের অভিযোগ, সেই দাবিতে কর্ণপাত করেননি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, “পড়ুয়াদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে আদালত ইতিমধ্যেই স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য আমাদের পরীক্ষা ও ভর্তি ব্যাহত হওয়ার কোনও কারণ নেই। আমাদের ভবিষ্যৎ যাতে সুরক্ষিত থাকে, তার ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে।”
ভবিষ্যতে ক্লাসে যোগ দেওয়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানতে না পারলে বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন পড়ুয়ারা।