গদ্দারদের দলে জায়গা নেই: সায়নী
গদ্দারদের দলে জায়গা নেই। বিধানসভা ভোটের সময় অনেকে ‘সেফ’ খেলছিলেন। ভেবেছিলেন, বিজেপি জিতলে বিজেপির দিকে যাব, আবার তৃণমূল জিতলে তৃণমূলে। তেমন লোকজনদের দলে রাখার দরকারই নেই। দলের নেতৃত্বকে বলছি, তাদের এই মুহূর্তে বের করুন। সোমবার কাঁথিতে তৃণমূল যুব সংগঠনের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ একথা বলেন। এদিন বিকেলে শহরের ডরমেটরি সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত এই সম্মেলনে তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্যও বক্তব্য রাখেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দফায় দফায় বৃষ্টি সত্ত্বেও এদিন সম্মেলনে উপচে পড়া ভিড় ছিল।
সায়নী বলেন, মেদিনীপুরের মাটি বীরের মাটি, লড়াই-সংগ্রামের মাটি। এখান থেকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আন্দোলনের সূচনা করেছেন। আবার মেদিনীপুরের মাটিতেই তিনি দুধ-কলা দিয়ে কালসাপ পুষেছিলেন। তাই ‘ঘরের শত্রু বিভীষণে’র বিরুদ্ধে লড়াই খুবই কঠিন ছিল। আপনাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ, বিধানসভা ভোটে এই জেলায় ১৬টির মধ্যে ৯টি গোল(সিট) দিয়েছেন। দারুণ খেলেছেন। আগামী দিনে আরও গোল দিতে হবে। সেটা আপনাদেরই নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, গদ্দার চিনুন। এই সভার মধ্যেই অন্তত একশো জন গদ্দার বসে রয়েছে। ভোট চলাকালীন কিংবা ভোটের আগে যে মানুষগুলো পাঁচিলের উপরে বসে জল মাপছিল। সেই মানুষগুলো যদি এখনও দলে থাকে, তাহলে ছেঁটে বের করুন। আর যদি রাখতেই হয়, তাহলে তারা বুথে বুথে গিয়ে ঝাণ্ডা লাগাবে। এটাই তাদের কাজ হওয়া উচিত। আর নেতা হওয়া হবে না। তাদের চা-কফি আনতে দিন। এটাই হচ্ছে প্রায়শ্চিত্ত।
সায়নী যুব নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, মন দিয়ে ভালোবেসে রাজনীতি করুন। মানুষই আপনাকে বেছে নেবেন। অন্য কোনও নেতার পায়ে পড়তে হবে না। সায়নী বলেন, বিজেপি সেখানে গিয়েই ভোট করবে, যেখানে তারা বিভেদের রাজনীতি, ধর্মের রাজনীতি করতে পারবে। আর যেখানে মানুষ রাজনীতি মনস্ক, যেখানে মানুষ বুদ্ধি, আবেগ নিয়ে চলেন, সেখানে বিজেপি গো-হারা হারবে। যেমন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিজেপির মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে। আগামী দিনেও দেবে। ত্রিপুরায় গুণ্ডামি করছে বিজেপি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুয়ারে সরকার করছেন, এটাই পার্থক্য। মিলিয়ে নেবেন, আগামী দিনে ত্রিপুরায় আমরা জিতবই। সেই ভরসাটা আমাদের দিদিকে দিতেই হবে।